
নাটোর নামটি শুনলেই যেন সবার আগে ‘কাঁচাগোল্লা’ নামটি চলে আসে। আর ‘কাঁচাগোল্লা’ নাম শুনতেই ভোজনপ্রিয় মানুষের জিভে জল এসে যায়। এবার নাটোরের সেই বিখ্যাত মিষ্টান্ন কাঁচাগোল্লা নিজস্ব পণ্য হিসেবে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) হিসেবে স্বীকৃত পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কাঁচা ছানা থেকে তৈরি মিষ্টান্ন কাঁচাগোল্লা গোলাকার নয়। কিন্তু চিনি মেশানো কাঁচা ছানা ছোট ছোট বলের মতো তৈরির পর ‘নাটোরের কাঁচাগোল্লা’ নামে বিক্রি ঠেকাতে ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে এবার মিলল স্বীকৃতি।
দেশের ১৭তম জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নাটোরের কাঁচাগোল্লা। ৮ আগস্ট শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরে নাটোর জেলা প্রশাসকের নামে কাঁচাগোল্লার জিআই স্বীকৃতি অনুমোদন দেওয়া হয়। জিআই সনদ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
কাঁচাগোল্লাকে নাটোর জেলার নিজস্ব মিষ্টি হিসেবে নিবন্ধ দেয়ায় শহরবাসীও খুশি। সঞ্জিতা পাল নামে একজন বলেন, ‘কাঁচাগোল্লা এখন শুধু আমাদের পণ্য। এটাকে কেউ যেন বিকৃতি করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখত হবে।’
নাটোরের বিখ্যাত কাঁচাগোল্লাকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) হিসেবে নিবন্ধন দেয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরাও। শিলা মিষ্টিবাড়ির মালিক মুকুল হোসেন বলেন, এটি নাটোরবাসীর সবচেয়ে বড় পাওয়া। এখন এটার মান ও গুণগত দিকটা খেয়াল রাখতে হবে।
নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা বলেন, কাঁচাগোল্লা জেলা প্রশাসকের নামে নিবন্ধন হয়েছে। এখন এটাকে বিকৃত করতে দেয়া হবে না।