যৌন হয়রানির অভিযোগের মুখোমুখি গ্র্যামি-জয়ী আমেরিকান র্যাপার গায়িকা লিজ্জো। সাবেক ব্যাকগ্রাউন্ড ড্যান্সার তাঁর বিরুদ্ধে যৌন, জাতিগত বিদ্বেষ এবং বডি শেমিংয়ের মতো বিস্ফোরক অভিযোগ এসেছে। তিন নৃত্যশিল্পী গায়িকার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং বডি শেমিংয়ের অভিযোগ এনেছেন।
গায়িকা লিজ্জো র্যাপ গান করে যেমন পেয়েছেন ভক্তদের ভালোবাসা তেমনি অর্জন করেছেন খ্যাতি। এবার এই র্যাপারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন তার সাবেক তিন সহকর্মী। তারা লিজ্জোর পেছনেই নাচ করতেন।
সহকর্মী তিনজন হলেন নৃত্যশিল্পী আরিয়ানা ডেভিস, নোয়েল রদ্রিগেজ এবং ক্রিস্টাল উইলিয়ামস। তারা দাবি করেছেন, লিজ্জোর কাছ থেকে তারা যৌন, ধর্মীয়, জাতিগত বিদ্বেষ ও বৈষম্যের স্বীকার হয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকার র্যাপার লিজ্জোর প্রযোজনা সংস্থা বিগ গ্রিস ট্যুরিং অধিকর্তা এবং তার নৃত্যদলের প্রধান শার্লিন কুইগিলের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার অভিযোগ করেন ওই তিন ভুক্তভোগী। মামলাটি আইনি প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামের একটি ক্লাবে লিজ্জো গান গাওয়ার সময় ওই তিন সহকর্মীকে নগ্ন হয়ে নাচার জন্য জোর করেছিলেন। এ ছাড়াও ওই তিনজনের একজনকে ‘মোটা’ বলে ভর্ৎসনা করেন তিনি।
এনবিসি নিউজ বলছে, মামলায়, একজন নর্তকী দাবি করেছিলেন যে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে আমস্টারডামের একটি ক্লাবে একজন নগ্ন অভিনয়শিল্পীকে স্পর্শ করার জন্য তাঁকে জোর করা হয়। বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি সুপিরিয়র কোর্টে মামলাটি চলছে।
লিজ্জোর আসল নাম মেলিসা ভিভিয়েন জেফারসন। ২০২১ সালে যখন আরিয়ানা এবং ক্রিস্টাল গায়িকার রিয়ালিটি শো ‘ওয়াচ আউটে’ কাজ করেছিলেন, তখন লিজোর কম্পানি দুজনকে বরখাস্ত করে দেয়। এরপর নোয়েল ২০২২ সালে Rumors-এর মিউজিক ভিডিওর জন্য লিজ্জোর সঙ্গ দিলে তিনিও পরবর্তীকালে সহকর্মীদের হয়রানি দেখে পদত্যাগ করেন।
মামলায়, তিনজন নারী শার্লিন কুইগলিকে অভিযুক্ত করেছেন। যিনি তাঁদের সঙ্গে ক্রমাগত যৌন হয়রানির চেষ্টা করেছেন। আর নৃত্যশিল্পীদের আরো দাবি যে লিজ্জো সেই ক্লাবগুলোতে অভিনয়শিল্পীদের দিয়ে নগ্ন শুটিং করাতে বাধ্য করেন। আর তা না করলে বেত্রাঘাত করা হয়।
অভিযোগকারী আরিয়ানা ডেভিস, ক্রিস্টাল উইলিয়ামস এবং নোয়েল রদ্রিগেজের দায়ের করা অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে লিঙ্গ, ধর্ম, জাতি এবং অক্ষমতার ভিত্তিতে হয়রানির মতো একাধিক অভিযোগ। তাঁদের আরো দাবি, ৩৫ বছর বয়সী গায়কের অনুরোধ মেনে না নিলে তার চাকরি হারানোর ভয় দেখায়।
বলা হচ্ছে, ‘লিজো এবং তাঁর ম্যানেজমেন্ট টিম তাঁদের পারফরমারদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করে, তা শুধু বেআইনিই নয়, বরং হতাশাজনক।’
এমনকি মিসেস কুইগলি নর্তকীদের তাঁদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিশ্বাসের বশ্যতা দিয়ে হয়রানি করতেন।
তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি লিজ্জো।