সংস্কৃতি ক্ষেত্রে নবজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তৃণমূল পর্যায়ে সংস্কৃতি চর্চা প্রসারের পাশাপাশি সংস্কৃতি ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় ইতোমধ্যে ৬৪ জেলায় সাহিত্যমেলা আয়োজন করা হয়েছে। তাছাড়া গত ২৭ জুলাই প্রথমবারের মতো উপজেলা সাহিত্যমেলার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নেতৃত্বে তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রতিভা অন্বেষণে জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবমিলিয়ে সংস্কৃতি ক্ষেত্রে এক নবজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। এ সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী সোমবার বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ‘দেশব্যাপী প্রতিভা অন্বেষণ’ শীর্ষক ‘জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০২৩’-এর পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই দেশে-বিদেশে আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ও সমৃদ্ধ বাঙালি সংস্কৃতি যথেষ্ট সমাদৃত হয়েছে এবং প্রচার-প্রসার ঘটেছে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে নবীন ভোটারসহ সকলকে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহবান জানাই।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ।

উল্লেখ্য, জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় ৬৪ জেলা থেকে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারী এবং ঢাকা মহানগর থেকে শুধু ১ম স্থান অধিকারী সহ মোট ১৩৬৫ জন প্রতিযোগিকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০২৩। পঞ্চগীতিকবির গান, লোকসঙ্গীত, দেশাত্ববোধক গান, সাধারণ নৃত্য, শাস্ত্রীয় নৃত্য, একক আবৃত্তি এবং একক অভিনয় সহ মোট সাতটি বিভাগের আওতায় ২১ টি শাখায় চূড়ান্তভাবে সর্বমোট ৬৩ জন প্রতিযোগী বিজয়ী হয়।

প্রতিমন্ত্রী পরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে সিলেট অঞ্চলের তিন গুণী শিল্পী (আধ্যাত্মিক সাধক ও বাউল সুফী আরকুম শাহ, মরমি বাউল ও গীতিকার কামাল পাশা এবং বাউল সাধক দুর্বিন শাহ) স্মরণে ‘বাংলাদেশ সংস্কৃতি ফোরাম’ আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন।

শেয়ার করুন:

Recommended For You