স্মার্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রে থাকবে ‘স্মার্ট সিটিজেন’ : শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, তরুণরাই স্মার্ট। আর ‘স্মার্ট সিটিজেনরাই’ স্মার্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রে থাকবে। শিক্ষায় অজানা ভবিষ্যতের অভিযোজন দক্ষতায় গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।

রোববার রাজথানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্র্যান্ড বলরুমে প্রথম বাংলাদেশ স্টার্টআপ-২০২৩ সম্মেলনের শেষদিনে ‘চকবোর্ড থেকে কিবোর্ড’ বিষয়ক প্রশ্নোত্তর আড্ডায় এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্মার্ট সিটিজেন দিয়েই স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট গভর্নেমেন্ট আবর্তিত হবে। যার দক্ষ, যোগ্যতা, সৃজনশীলতা, মানবতা, অসম্প্রদায়িক চেতনা, পরমসহিষ্ণুতা যত বেশি, সে তত স্মার্ট।

তিনি আরো বলেন, ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের একটা দারুণ সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যেই আমাদের যোগ্য প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে। এজন্য শিক্ষাই প্রধান হাতিয়ার। শিক্ষাই হবে মেগা প্রকল্প। তাই আমাদের শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা ও আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। বাই চান্স শিক্ষক নয়; আমাদের দরকার মনে-প্রাণে শিক্ষক। তাদের মাধ্যমেই আমরা দক্ষ, যোগ্য ও মানবিক মানুষ গড়ে তুলেতে চাই আমরা। এক্ষেত্রে সময়ের প্রয়োজনেই তাকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে রাখতে হবে।

ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা পরবর্তী প্রজন্মকে অনিশ্চিত অজানা ভবিষ্যতের জন্য নতুন সেট অব স্কিল শেখাচ্ছি। সফট স্কিলের পাশাপাশি দলগতভাবে কাজের দক্ষতা, পরমত সহিষ্ণুতা এবং চিন্তা শক্তির মাধ্যমে সমাধানমুখী শিক্ষা ব্যবস্থায় নিয়ে আসছি। আমরা করে করে শেখার পদ্ধতি চালু করেছি। আশা করছি ২০২৫ সালের মধ্যে আমরা পুরোপুরি নতুন কারিকুলামে চলে যেতে পারবো।

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই এখন বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হচ্ছে। রিয়েল প্রাক্টিশনারকে শিক্ষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে এলে আরো ভালো ফল পাওয়া যাবে। আমাদের সফট স্কিলগুলো নিয়মিত রিস্কিল করতে হবে। ছোট-ছোট মডিউল তৈরি করতে হবে। সর্বোপরি উন্নাসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। গবেষণা, উদ্ভাবন, বিপননের পথ উন্মুক্ত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে।

শেয়ার করুন:

Recommended For You