ইসলামের প্রতি কোনো আন্তরিকতা নেই বিএনপির : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর ইসলামের নামে অনেকে ক্ষমতায় এলেও এর প্রচার-প্রসারে কাজ করেনি। ইসলামের প্রতি কোনো আন্তরিকতা নেই বিএনপির। যা আছে, সেটি লোক দেখানো।

রোববার (৩০ জুলাই) পঞ্চম পর্যায়ে নির্মিত ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করি তখন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিজস্ব কোনো ভবন ছিল না। আমি ১০তলা ভবন নির্মাণ করে দেই। সব জেলায় স্থায়ী অফিস ছিল না, মাত্র ৩৪টি জেলায় অফিস ছিল। আমি সরকারে আসার পর প্রতিটি জেলায় ইসলামী ফাউন্ডেশনের জন্য অফিসের ব্যবস্থা করে দেই ও কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।

সরকারপ্রধান বলেন, দেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ সহ্য করা হবে না। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের জঙ্গি কার্যক্রমে ইসলামের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। তাই জুমার খুতবায় জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন করার তাগিদ দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সারাদেশের মডেল মসজিদগুলোকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। কারণ ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে এই মসজিদগুলো পরিচালিত হবে। যেন ভবিষ্যতে কেউ আর এসব মসজিদের ক্ষতি করতে না পারে।

তিনি বলেন, আমি যখন বায়তুল মোকাররম মসজিদকে উন্নত করার কাজ শুরু করলাম। সেখানে আমাদের মহিলাদের নামাজের সু-ব্যবস্থা, ওযুখানা থেকে শুরু করে গাড়ি পার্কিং করছিলাম। কিন্তু ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেই মসজিদের কাজ বন্ধ করে দেয়। আমরা যে পর্যন্ত কাজ করেছিলাম, সে পর্যন্তই পড়ে থাকে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক একটা ঘটনা। আল্লাহর রহমতে ৮ বছর পর আমরা যখন আবার সরকারে আসি, তখন বায়তুল মোকাররম মসজিদ আমরা আবারও পুনর্নির্মাণ করে উদ্বোধন করি। কাজেই কোনো সরকার এসে যেন আমাদের এই মসজিদগুলো নষ্ট করতে না পারে। তাই এগুলো ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে থাকবে। যেন আবারও সরকার পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে মসজিদে কেউ হাত দিতে না পারে।

সরকারপ্রধান বলেন, শুধু বায়তুল মোকাররম না, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সবচেয়ে বড় একটি মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলাম। খালেদা জিয়ার বক্তব্য ছিল, ‘এতোবড় মসজিদে কে যাবে নামাজ পড়তে’। সেটার কাজও তারা বন্ধ করে দিয়েছিল। এমনকি মিনারগুলোও তৈরি করতে দেয়নি। আমি দ্বিতীয়বার সরকারে এসে সেই মসজিদটি নির্মাণ করি। তারা ইসলাম ধর্মের নামে রাজনীতি করে। কিন্তু ধর্মীয় কাজে তাদের কোনো আন্তরিকতা ছিল না। আর তাদের চরিত্র তো আপনারা জানেন। তারা সন্ত্রাসী, অগ্নিসন্ত্রাসী। গতকালও আপনারা দেখেছেন, কতগুলো বাস পুড়িয়েছে। এর আগেও তারা জীবন্ত মানুষগুলোকে পুড়িয়ে মেরেছে। ২০১৪ সালে তারা বাড়ি, স্কুল-কলেজ, বাস-ট্রেন, অফিস কোনো কিছুই বাদ রাখেনি, সব পুড়িয়েছে। গতকাল (শনিবার) আবারও তাদের সেই অগ্নিসন্ত্রাসের রূপ আমরা দেখলাম।

দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় মোট ৫৬৪টি মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরইমধ্যে চার দফায় চালু হয়েছে, ২শটি। আজকের ৫০টি মিলিয়ে তা বেড়ে দাড়াবে, আড়াইশোটিতে। চারতলার মসজিদে একসঙ্গে ১২শ’ ও তিনতলা মসজিদে ৯শ’ মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

শেয়ার করুন:

Recommended For You