ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সোর্স পরিচয় দেওয়া সোহেলের অতর্কিত হামলায় আহত হয়েছেন সাংবাদিক শাহাদুজ্জামান বাবু।
জানা গেছে, শৈলকুপায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সোর্স পরিচয়ে দিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি, সাধারণ মানুষের ভয়ভীতি জিম্মিসহ, মাদক সম্রাট, মাদকসেবনকারী সোহেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। এছাড়াও সোহেলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপেরও অভিযোগ রয়েছে।
সোহেল শৈলকুপার মাইলমারী গ্রামের মৃত জব্বার সরদার-এর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে সহেল পদমদি গ্রামের নিরহ কৃষক খোকন নামে একজনকে মাদক ব্যবসায়ী বলে মাঠ থেকে মারধর করে। এছাড়া একই গ্রামের ভ্যানচালককে মাদক দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১০০ টাকা হাতিয়ে নেয়। এতে সোহেল এর অত্যাচারে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।
পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সোহেলকে নিয়ে অভিযানে যান। এসময় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে সোহেলকে মারধর করে। মারধরের ভিডিও ধারণ করে সাংবাদিক শাহাদুজ্জামান বাবু, আশরাফুল, রাজীব, শিহাবসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা। এতে সোহেল ক্ষুব্ধ হয়ে পরেরদিন বিকেলে হরিণাকুন্ডু চারপাড়া এলাকা থেকে দেশীয় অস্ত্র দা নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য শহিদুজ্জামান বাবুর উপর হামলা করে। এসময় আশপাশের লোক হাতে থাকা দা কেড়ে নিলেও কিল, ঘুষি লাথি মারতে থাকে। এতে সাংবাদিক বাবুর কানে প্রবল আঘাত লাগে। এছাড়া একটা দাঁত ভেঙে যায়। বর্তমানে সাংবাদিক বাবু শৈলকূপা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
আহত সাংবাদিক বাবু বলেন, ‘একটি কাজে চরপাড়া বাজারে গেলে সেখানে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায় সোহেল। সে সময় তার হাতে দা ছিলো। স্থানীয়রা না থামালে হয়ত আমাকে মেরেই ফেলত।’
এই বিষয়ে সোহেলের বক্তব্য জানতে চাইলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনা শুনেছি। লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এঘটনায় ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও শৈলকুপা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সেই সাথে মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবনকারী চাঁদাবাজ সোহেলকে গ্রেফতারের দাবি জানান সাংবাদিকবৃন্দ।
আহত সাংবাদিক বাবু
