অবসরের ঘোষণার ২৮ ঘণ্টা পার না-হতেই আবার মাঠে ফেরার কথা জানিয়েছেন তামিম ইকবাল। তবে এই ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিতে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। আর এর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মুর্তজার। তিনিই তামিমকে নিয়ে গেছেন গণভবনে।
মাশরাফীকে টিমের সাথে চান তামিম, সে কথা গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ই বলেছেন। এবার সুযোগ পেয়ে বাঁহাতি এ ওপেনার প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, মাশরাফিকে ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের মেন্টর হিসেবে নিয়োগ দিতে। প্রধানমন্ত্রীও তাতে প্রাণবন্ত সাড়া দিয়েছেন বলে জানান তামিম। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি বলেছি, মাশরাফি ভাইকে বিশ্বকাপের সময় এক-দেড় মাসের ছুটি দিন। আমরা তাঁকে বিশ্বকাপে মেন্টর হিসেবে পেতে চাই। প্রধানমন্ত্রী তখনই হেসে বলেছেন, ‘অবশ্যই, মাশরাফি যাবে।’ মাশরাফি ভাইকে তিনি প্রস্তুত থাকতেও বলে দেন।’
মাশরাফী তামিমের ভারো সম্পর্কই কেবল এই ঘটনায় স্পষ্ট হয়েছে তা না, বরং পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ ক্রিকেটে এখনও যে মাশরাফীর কোনো বিকল্প নেই তা বোধহয় এই ঘটনায় আরও একবার প্রমাণিত হলো। এই উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মাশরাফী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, ওর সঙ্গে যোগাযোগ করতে। আমি তাকে বলেছি যে, ‘তামিমকে আমি নিয়ে আসছি আপনার কাছে।’ আমার দায়িত্ব ছিল ওকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিয়ে যাওয়া। চেয়েছি যে, ও গিয়ে মনের কথা বলুক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে কথা আছে, সেটা তিনি বলবেন। তার পর যে সিদ্ধান্ত হওয়ার, হবে।’
একটি সিরিজ চলাকালে তামিমের অবসরের সিদ্ধান্তকে ভুল মনে হয়েছে মাশরাফির কাছে। তাঁর মতে, ‘তামিমের বয়স এখন ৩৪ বছর। এখনও পাঁচ হাজার রান করার সুযোগ আছে তার। সবচেয়ে বড় কথা, ব্যক্তির চেয়ে দেশের ক্রিকেট আগে। সামনে বিশ্বকাপের মতো বড় ইভেন্টে খেলতে হবে। তার মতো অভিজ্ঞ একজন ব্যাটার থাকলে ভালো হবে দলের জন্য। কে বলতে পারে, বিশ্বকাপে ৫০০ রান করবে না। এ কারণে আমি খুশি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে। তবে তাকে ফিট হয়ে খেলায় ফিরতে হবে। অবসর থেকে সরে এলেই তো হবে না, আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার মতো ফিট থাকতে হবে। তাকে এখন এই চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।’