ভারতের বেঙ্গালুরুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লেবাননের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে লাল-সবুজের বাংলাদেশ।
র্যাংকিংয়ে লেবাননের থেকে ৯৩ ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশ। শক্তিমত্তায় বিশাল পার্থক্য। এই ম্যাচে ড্র করতে পারলেও সেটা বড় পাওয়া হতো জামাল ভূঁইয়াদের। এমন ম্যাচে খুব খারাপ খেলেছে বাংলাদেশ, বলা যাবে না। রক্ষণের ভুলে শেষদিকে এসে জোড়া গোল হজম করলো হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যরা।
লেবাননকে আটকে রাখার চেষ্টায় শুরু থেকেই রক্ষণাত্মক ছিল বাংলাদেশ। তাই প্রথমার্ধে সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে পারেনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
৪৩ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ভালো একটা সুযোগ পেয়েছিলেন। লেবাননের এক ডিফেন্ডার আটকানোর চেষ্টা করলেও বল ছিল বক্সের মধ্যেই, শেষ মুহূর্তে গোলরক্ষক সেই বল বের করে দেন।
এর তিন মিনিট পর লেবাননের ১০ নম্বর জার্সিধারী আল হাজ বক্সের মধ্যে দুইজনকে কাটিয়ে বিপজ্জনক জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন বল। কিন্তু ডানপাশ থেকে তিনি লক্ষ্যভ্রষ্ট শট করেন। গোলশূন্য সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে তিন পরিবর্তন এনে আক্রমণের ধার বাড়ায় লেবানন। ৪৮ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় জেইন ফারানের বাঁ প্রান্ত থেকে নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। ৫৪ মিনিটে লেবাননের হাসা মাতুক সহজ সুযোগ পেয়ে বল ওপরে মেরে দেন।
৫৭ মিনিটে জনিকে তুলে মুরসালিন এবং জামাল ভূঁইয়ার বদলে মোহাম্মদ হৃদয়কে নামান কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। পরের মিনিটে সুমন রেজার বদলে আসেন রবিউল হাসান।
৫৯ মিনিটে ফাহিম একদম একা পেয়ে গিয়েছিলেন লেবানন গোলরক্ষককে। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। লেবানন গোলরক্ষক এগিয়ে এসে রুখে দেন তার শট।
৭৩ মিনিটে ফাহিমকে তুলে রাকিবকে মাঠে নামান ক্যাবরেরা। বাংলাদেশ বেশ ভালোভাবেই লেবাননকে আটকে রাখছিল। মনে হচ্ছিল, ড্র করা সম্ভব হবে। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয়নি।
৭৯ মিনিটে ফাঁকা পেয়ে যায় লেবানন। দুই ফুটবলার ঢুকে পড়েন বক্সের মধ্যে। গোলরক্ষকের কিছুই করার ছিল না। একজন আরেকজনকে পাস দিয়ে সহজেই জায়গা বের করে নেন। ডরিচের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন হাসান মাতুক।
যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে রক্ষণেরই ভুলে আরেকটি গোল হজম করে বাংলাদেশ। এবারও পুরো ফাঁকা পেয়ে গিয়েছিল লেবানন।
ফারানের পাস থেকে খলিল বাদের সহজেই বল জালে জড়ান। ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লেবানন।