সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ। তবুও তাদের সুরক্ষায় কোনো আইন নাই রাষ্ট্রের। সাংবাদিক সুরক্ষায় আলাদা আইন নাই। সরকার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে। সাংবাদিকদের মূল নীতিই হচ্ছে নিরপেক্ষতা, অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার। সাংবাদিকরা কোন সরকারের আমলেই সুরক্ষিত নয়। জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধনে এমন কথা বলেন বক্তারা।
রবিবার (১৮ জুন) বেলা ১১টায় বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সদস্য, সচেতন নাগরিকসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।
বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের প্রতিনিধি আরিফ হোসেন ফসল বলেন, অতীতে বহু সাংবাদিক হত্যা হয়েছে৷ নির্যাতিত হয়েছে অসংখ্য সাংবাদিক৷ এ বিষয়ে প্রশাসনের সহায়তা না পেলে নিজেদের সুরক্ষায় যা করার তা করতে আমরা রাজি। দরকার হলে একসঙ্গে জেল খাটব সবাই, তবুও এসব অন্যায় প্রতিহত করব। নাদিম হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি একাত্তর টেলিভিশনের বরগুনা প্রতিনিধি ইমরান টিটু বলেন, ২০২০ সালে সাংবাদিক কাজল নিখোঁজ হল, ৫৪ দিন পর তাকে আটক দেখালো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে প্রকাশ্যে আনা হল। অথচ আমার সহকর্মী নাদিম ভাইকে যারা পিটিয়ে মেরে ফেলল তাদেরকে হ্যান্ডকাফ পরায়নি র্যাব। সাংবাদিকরা সবসময়ই অবহেলিত, সব সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও কোন সরকারের আমলেই আমরা নিরাপদ নয়। দ্রুত নাদিম হত্যার বিচারের দাবি জানাই।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া, মাইটিভির শফিকুল ইসলাম স্বপন, বাংলানিউজ টুয়েন্টিফোরের রিপোর্টার শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
ডব্লিউজি/এমএইচএস