
ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান। সেজন্য গত ৫ জুন এ অভিনেতা আওয়ালী লীগ দলের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। পরদিনই মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এদিকে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত। শুক্রবার (৯ জুন) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় ঢাকা-১৭ আসনে মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়।
মনোনয়ন না পেয়ে মন খারাপ হয়েছে সিদ্দিকুর রহমানের। তবে তিনি দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।
এক ভিডিও বার্তায় সিদ্দিক জানান, মনোনয়ন না পেয়ে তার মন খারাপ হয়েছে। সেজন্য তিনি মন ভালো করতে দুবাইয়ে ঘুরতে এবং শপিং করতে গিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছি যে আমার মোবাইলটা সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে। তাতে অনেকেই ভেবেছেন যেযে আমি সিদ্দিকুর রহমান কেনো মোবাইল বন্ধ রাখবো! সবাই জানেন যে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করবার জন্য আমি নমিনেশন পেপার উঠিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-১৭ আসনের জন্য সিলেকশন করেননি। সেই কারণে একটু মন খারাপ।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মন খারাপ হলে মানুষ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়। আমি সেরকমই একটা জায়গায় ঘুরতে আসছি, দুবাইয়ে এবং কেনাকাটা করতে আসছি। অনেকেই আছেন যে মন খারাপ হলে ঘুরলে এবং কেনাকাটা করলে মন ভালো হয়। আমারও তাই।
তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের লোক, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মানুষ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আদর্শের সৈনিক। নৌকার মানুষ আমি। সেই জায়গা থেকে বলতে চাই, ঢাকা-১৭ আসনে যাকে নমিনেশন দেয়া হয়েছে আমি সত্যিকার অর্থেই সেই মানুষটার পক্ষে কাজ করবো, নৌকার পক্ষে কাজ করবো।
তিনি তার ভিডিও বার্তায় আওয়ামী লীগের নমিনেশন প্রত্যাশী যারা ছিলেন তাদের সকলকেই উন্নয়নের মার্কা নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।
সিদ্দিকুর রহমান আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী তাকে যোগ্য মনে করলে মনোনয়ন দিতে পারেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ডব্লিউজি/এমএইচএস