গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ে হাজির হয়েছেন। এসময় তিনি কারও সঙ্গে কথা না বলে সরাসরি দুদক কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বেশ কিছু অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম।
মঙ্গলবার (৬ জুন) সকাল ১০টা ২৭ মিনিটের দিকে সেগুনবাগিচার দুদক কার্যালয়ে আসেন তিনি।
অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অবৈধ সম্পদের বিষয়ে জাহাঙ্গীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন দুদকে সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান। তিনি জানান, সকাল ১০টার আগেই জাহাঙ্গীরের একজন আইনজীবী দুদক কার্যালয়ে আসেন। পরে সাবেক এই মেয়র হাজির হন।
ভুয়া ব্যাংক হিসাবে টাকার অবৈধ লেনদেন, বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে জাহাঙ্গীর আলমকে গত ১৬ মে নোটিশ দেয় দুদক।
আলাদা নোটিশে তাকে ২১ ও ২২ মে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করে দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. আলী আকবর।
আলী আকবরের নেতৃত্বে দুটি আলাদা অনুসন্ধান টিম জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে অনুসন্ধান করছে।
এর আগে গত ১৮ মে দুদকের তলবে হাজির হতে এক মাস সময় চেয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করেন জাহাঙ্গীর আলম। এ বিষয়ে কোনো জবাব না পেয়ে ২১ মে দুদকে উপস্থিত হয়ে সময় চাওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আসেন তিনি।
এ বিষয়ে গত ১৭ মে সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের একটি অভিযোগ ও ২০২২ সালের আর একটি অভিযোগ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান শুরু হয়। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইতোমধ্যে অনেকেরই বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। অনেক কাগজপত্রও সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযোগের অনুসন্ধানের শেষ পর্যায়ে তার বক্তব্য প্রয়োজন। এ কারণেই তাকে তলব করা হয়েছে। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।
পরে দুদকে চলতি মাসের ৬ ও ৭ তারিখে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়।
(ডব্লিউজি/এমএইচএস)