হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৭ জন। আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (৪ জুন) সকাল ৬টার দিকে হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়কের সুদিয়াখলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে সিএনজিচালক রফিক মিয়া (৩৫), বানিয়াচং উপজেলার রঘু চৌধুরী পাড়ার মো. আজির হোসেনের ছেলে জিয়াউল হক (৩৬) ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর গ্রামের আব্দুল বারিকের ছেলে মো. মুছা মিয়া (৬৪)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজমুল হক কামাল। তিনি বলেন, দুইজন যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা শায়েস্তাগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে সুদিয়াখলা প্রথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে হবিগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী মর্ডান পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশার চালকসহ তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় বাসটিও রাস্তার পাশে পড়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, রোববার সকালে রফিক মিয়া, জিয়াউর রহমান ও মুসা মিয়া একটি অটোরিকশায় শায়েস্তাগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জ শহরে আসছিলেন। এ সময় হবিগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী মর্ডান পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধে। এতে বাসের নিচে চাপা পড়ে অটোরিকশাটি। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। এছাড়াও বাসটিও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে উল্টে যায়।
খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ওসি নাজমুল হক কামাল বলেন, সড়কে রাখা পাথরের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গাড়ি দুটি জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে। তবে বাসচালক পালিয়ে গেছে।
ডব্লিউজি/এমএইচএস