
নজরুলচর্চায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলা একাডেমির নজরুল পুরস্কার-২০২৩ পাচ্ছেন শিল্পী শাহীন সামাদ। নজরুলচর্চা ও তার প্রসারে সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কারে সম্মানিত করা হচ্ছে শাহীন সামাদকে।
বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি ২৪ মে একক বক্তৃতা, নজরুল পুরস্কার-২০২৩ প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
এ অনুষ্ঠানে শিল্পী শাহীন সামাদকে নজরুল পুরস্কার ২০২৩ প্রদান করা হবে। নজরুল পুরস্কারের অর্থমূল্য দুই লাখ টাকা।
পুরস্কার প্রাপ্তি প্রসঙ্গে শাহীন সামাদ বলেন, কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আমি অনেক পুরস্কার পেয়েছি। প্রতিটি পুরস্কারই আমাকে আনন্দ দেয়, উদ্দীপ্ত করে। তবে বাংলা একাডেমির এ পুরস্কারটি আমার জীবনের অন্যতম সেরা পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত হবে। কারণ এটি নজরুল পুরস্কার। এ পুরস্কার আমাকে নজরুলচর্চায় আরও উদ্দীপ্ত করবে।
তিনি বলেন, শাহীন সামাদ বলেন, নজরুলকে নিয়ে সামগ্রিক চর্চার জন্য এই পুরস্কারে আমাকে মনোনীত করায় আমি আনন্দিত এবং বাংলা একাডেমির কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আগামী বুধবার নজরুল পুরস্কার-২০২৩ প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে শিল্পী শাহীন সামাদের হাতে পুরস্কার হিসেবে একটি চেক, সম্মাননাপত্র ও স্মারক তুলে দেওয়া হবে। এর আগে শিল্পী শাহীন সামাদকে নজরুলসংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৬ সালে একুশে পদক প্রদান করে বাংলাদেশ সরকার।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ছিলেন শিল্পী শাহীন সামাদ। তিনি ৩৬টি দেশাত্মবোধক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি’, ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর’, ‘রক্তের প্রতিশোধ রক্তেই নেব আমরা’ ইত্যাদি। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রামী শিল্পী সংস্থায় যোগ দেন। তারা বিভিন্ন রিফিউজি ক্যাম্প এবং মুক্তাঞ্চলে ঘুরে ঘুরে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে গান শোনাতেন।
ডব্লিউজি/এমএইচএস