বান্দরবানে সন্ত্রাসী হামলায় ২ সেনা নিহত

বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর টহল টিমের ওপর কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) সন্ত্রাসীদের হামলায় সেনাবাহিনীর দুই সৈনিক নিহত হয়েছেন। এ সময় সেনাবাহিনীর আরও দুই কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসপিআর।

আইসপিআর থেকে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসীরা আইইডি বিস্ফোরণ ও অতর্কিত গুলিবর্ষণ করে। হামলায় সেনাবাহিনীর টহল টিমের দুই সৈনিক নিহত হয়েছেন এবং দুই কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছ।

আইএসপিআর জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রুমা উপজেলার সুংসুংপাড়া সেনা ক্যাম্পের আওতাধীন জারুলছড়ি পাড়া নামক স্থানে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানার খবর আসে। এই সংবাদ পেয়ে সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্প থেকে মেজর মনোয়ারের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল মঙ্গলবার (১৬ মে) দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থানে যায়। টহল দলটি জারুলছড়ি পাড়ার নিকটস্থ পানির ছড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে আনুমানিক দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) সন্ত্রাসীদের ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ও অতর্কিত গুলিবর্ষণের মুখে পড়ে। এতে দুইজন অফিসার ও দুই সৈনিক আহত হয়। আহতদের দ্রুত হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সিএমএইচ চট্টগ্রামে স্থানান্তরিত করা হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসারত অবস্থায় আহত দুই সৈনিক মারা যায়। আহত অপর দুই অফিসার বর্তমানে চট্টগ্রাম সিএমএইচে চিকিৎসাধীন।

দেশের জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদ সেনা সদস্যদের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে সেনাবাহিনী প্রধান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

সূত্র জানায়, দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জানা গেছে,  বর্তমান সময়ের দুর্ধর্ষ জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’-এর মদতদাতা হিসেবে কাজ করছে পার্বত্য অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ)’।

তথ্য মতে, বান্দরবানের রুমা উপজেলার সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সভাপতি হলেন নাথান বম। তিনি আত্মগোপনে থেকে এসব সশস্ত্র হামলার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। নাথান বমের উচ্চাভিলাষী জীবনের নেপথ্যে বেপরোয়া চাঁদাবাজি। খুমি, লাইস, খেয়াং, পাংখোয়া, ম্রো—এই পাঁচ সম্প্রদায়ের অধিকার আদায়ের নামে জেএসএফ-এর এক শীর্ষ নেতার হাত ধরে এবং তার আশ্রয় প্রশ্রয়ে কেএনএফ প্রতিষ্ঠা করেন নাথান বম। পরবর্তীকালে তিনি গুরু মারা শিষ্যের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। নিজেই হতে চেয়েছিলেন জেএসএসের বিকল্প প্রতিষ্ঠানের বস। আর এ জন্য অনৈতিকভাবে অর্থ সংগ্রহও শুরু করেন। তাকে চাঁদা না দিলে নির্যাতন ও অপহরণ করা হতো। সুন্দরী মেয়েদের নিয়ে মনোরঞ্জন করেন।

ডব্লিউজি/এমএইচএস

শেয়ার করুন:

Recommended For You