বরগুনা আমতলীতে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় সাফল্য দেখিয়েছেন চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। উপজেলা পর্যায়ে তারা শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠান প্রধান মাধ্যমিক পর্যায়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথম স্থান দখল করেছেন।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক মিলন।
এদিকে দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ও প্রধান নির্বাচিত হওয়ায় প্রধান শিক্ষক মো. এডভোকেট মাহাবুবুল আলম সংশ্লিষ্ট সবার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশসহ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আইসিটির উপরে শুধু বাংলাদেশেই নয় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকেও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
জানা গেছে, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফলাফল, শিক্ষকদের যোগ্যতা, অবকাঠামোগত সুবিধা, প্রশাসনিক ও আর্থিক শৃঙ্খলা, আইসিটি দক্ষতা, পঠন-পাঠনে নিয়মানুবর্তিতা, শিক্ষার পরিবেশ, জাতীয় দিবসসমূহ উদযাপন প্রভৃতি বিবেচনায় চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করা হয়।
এর আগে ২০১৯ সালে বিদ্যালয়টি শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছিল। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে বিদ্যালয়টির ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৪৬০জন ১৭জন শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ৫ জন কর্মচারীর সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে অনুমোদন পেয়েছে বিদ্যালয়টি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক এডভোকেট মাহবুব আলম জানান, দ্বিতীয় বারের মতো আমরা সাফল্য পেলাম। এ সাফল্যের জন্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি, শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। আশা রাখি সামনে আমরা আরো ভালো সাফল্য অর্জন করতে পারবো। এবং সরকারের দেওয়া বিধি-বিধান যথাযথভাবে পালন করি।
প্রতিষ্ঠানের সফলতার বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি শামসুদ্দিন আহমেদ ছজু বলেন, প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের নিবিড় পর্যবেক্ষন, ছাত্রীদের কঠোর অধ্যবসায়, শিক্ষকদের একনিষ্ঠতা এবং সর্বোপরী অভিভাবকদের সচেতনতাই ছাত্র-ছাত্রীদের আন্তরিকতা এই ফলাফলের মূলমন্ত্র।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াউল হক মিলন বলেন, একটি ভালো প্রতিষ্ঠানের যত গুণ থাকা দরকার তার সবকটি প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে প্রতিষ্ঠানটি সামনের দিকে আরো অনেকদূর এগিয়ে যাবে।
ডব্লিউজি/এমএইচএস