শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

আজ ১৭ মে। ১৯৮১ সালের এই দিনে নির্বাসন শেষে দেশে ফেরেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে সেদিন তাঁকে স্বাগত জানাতে ছুটে যান আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর প্রায় ছয় বছর নির্বাসিত জীবন শেষে তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন এ দিন।

১৯৮১ সালের ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দলের কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনাকে তার অনুপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরার পরদিনই ১৮ মে শেখ হাসিনা যান ধানমন্ডির বাড়িতে। তবে তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে ৩২ নম্বরের মূল ফটকের সামনে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ আদায় করেন এবং মিলাদ মাহফিল করেন। ঐ দিন তিনি আবেগরুদ্ধ কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘যে বাড়িতে আমি বড় হয়েছি, যে বাড়িতে আমার পিতাকে হত্যা করা হয়েছে, সেখানে আমাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না, এ কেমন বিচার? একদিন নিশ্চয়ই এসব অন্যায়ের বিচার হবে বলে তিনি মন্তব্য করেছিলেন। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িটি খুলে দেওয়ার জন্য এবং উত্তরাধিকারী হিসেবে বাড়ির মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করলেও জিয়াউর রহমান সরকার তাতে সাড়া দেয়নি বলে শেখ হাসিনা তার স্মৃতিচারণমূলক ‘স্মৃতি বড়ো মধুর, স্মৃতি বড়ো বেদনার’ কলামে উল্লেখ করেছেন। তবে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর রাষ্ট্রপতি সাত্তার ১৯৮১ সালের ২১ জুন ঐ বাড়িটি বুঝিয়ে দেন বলে শেখ হাসিনা তার লেখায় উল্লেখ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবার নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। তখন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ওই বছরের ২৪ আগস্ট ভারতে আসেন শেখ হাসিনা। সেখানে ছয় বছর রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন তিনি। ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিলে শেখ হাসিনাকে তাঁর অনুপস্থিতিতে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হলে তৎকালীন সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ১৭ মে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।

ডব্লিউজি/এমএইচএস

শেয়ার করুন:

Recommended For You