নায়ক ফারুককে শ্রদ্ধা নিবেদন

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চিত্রনায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুককে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ মে) বেলা ১২টার দিকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে কমডোর এম এম নাঈম রহমান শ্রদ্ধা জানান।

আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানানো হয়। তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নার চাঁপা ও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

এরপর ধাপে ধাপে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জাতীয় কবিতা পরিষদ, জয় বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, আওয়ামী শিল্পী গোষ্ঠী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন ফারুকের কফিনে শ্রদ্ধা জানায়। পরে চলিচ্চত্র অঙ্গনের শিল্পী কলাকুশলীরাসহ সর্বস্তরের মানুষ শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রিয় নায়ক, প্রিয় নেতার প্রতি।

সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকালে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নায়কের। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে হাসপাতালে প্রায় দুই বছর ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে ফারুকের মরদেহ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। পরে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বেলা পৌনে ১২টায় মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর ২টায় মরদেহ নেওয়া হবে এফডিসিতে। পরে গুলশানের আজাদ মসজিদে বাদ আসর জানাজা শেষে নায়ক ফারুককে সমাহিত করা হবে কালিয়াকৈর পারিবারিক কবর স্থানে। পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশেই তাকে সমাহিত করা হবে।

এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় আসেন নায়ক ফারুক। অভিনয়ের জন্য ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৬ সালে ভূষিত হয়েছেন আজীবন সম্মাননায়।

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে সারেং বৌ, লাঠিয়াল, সুজন সখী, নয়নমনি, মিয়া ভাই, গোলাপী এখন ট্রেনে, সাহেব, আলোর মিছিল, দিন যায় কথা থাকে ইত্যাদি।

ডব্লিউজি/এমএইচএস

শেয়ার করুন:

Recommended For You