ফারুকের মরদেহ ১১টায় নেয়া হবে শহীদ মিনারে

ফারুকের মরদেহ বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হবে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর ২টায় মরদেহ নেয়া হবে এফডিসিতে। পরে গুলশানের আজাদ মসজিদে বাদ আসর জানাজা শেষে গাজীপুরের কালীগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে। ফারুকের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে এ খবর।

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ৭টা ৫০মিনিটে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেই ফ্লাইটেই ঢাকায় পৌঁছায় নায়কের মরদেহ।

মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট ‘মিয়া ভাই’ খ্যাত অভিনেতার মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকালে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নায়কের। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

ওই দিন সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে ফারুকের মেয়ে ফারিয়া তাবাসসুম পাঠান তুলসী জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে অভিনেতার মরদেহ মঙ্গলবার সকাল ৮টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাবে।

তিনি বলেন, এখনো বাবার জানাজার নামাজের ব্যাপারে পারিবারিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমালিয়া ইউনিয়নে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে তাকে।

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে হাসপাতালে প্রায় দুই বছর ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় আসেন নায়ক ফারুক। অভিনয়ের জন্য ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৬ সালে ভূষিত হয়েছেন আজীবন সম্মাননায়।

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে সারেং বৌ, লাঠিয়াল, সুজন সখী, নয়নমনি, মিয়া ভাই, গোলাপী এখন ট্রেনে, সাহেব, আলোর মিছিল, দিন যায় কথা থাকে ইত্যাদি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, কন্যা ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও পুত্র রওশন হোসেন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্য ভক্তবৃন্দ রেখে গেছেন।

ডব্লিউজি/এমএইচএস

শেয়ার করুন:

Recommended For You