
কিংবদন্তি অভিনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্র অঙ্গনে।
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী চিত্রনায়িকা শাবনূর ফারুকের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন, কিংবদন্তির চিরবিদায়। ওপারে ভালো থাকবেন সবার হৃদয়ে গেঁথে থাকা পর্দার ‘সুজন’ ফারুক স্যার।
চিত্রনায়ক বাপ্পি চৌধুরী লিখেছেন, না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন কিংবদন্তি অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক)। প্রায় পাঁচ দশক ধরে রুপালি পর্দা মাতিয়েছেন ফারুক ভাই। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা। আজ সেই উজ্জ্বল নক্ষত্র হারিয়ে গেছে অনেক দূরে। তবে কথায় আছে, কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। আপনিও আজীবন বেঁচে থাকবেন আমাদের সবার হৃদয়ের পাতায়।
আরেক নায়ক মামনুন ইমন লিখেছেন, বিদায় মিয়াভাই। আজ ঘণ্টাদুয়েক আগে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়াভাই’ খ্যাত নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা ১৭ (গুলশান -বনানী) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) ভাই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
জায়েদ খান লিখেছেন, এতক্ষণ কিছু লিখিনি কারণ, মনে হয়েছে আপনি বেঁচে আছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে চলে গেলেন। এটা তো কথা ছিল না। বলেছিলেন জায়েদ আসতেছি, আড্ডা হবে। এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না আপনি নাই।
কণ্ঠশিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম লিখেছেন, জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই বীর সন্তানের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
জাহারা মিতু লিখেছেন, বিটিভিতে আপনার ছবি দেখে বড় হয়েছি। গ্রাম্য ছেলের ভূমিকায় কি অনবদ্য আপনি! আল্লাহ আপনাকে বেহেশত নসিব করুক। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
সোমবার (১৫ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় সিঙ্গাপুরের চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে শরৎ। তিনি বলেন, আজ সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে আব্বু মারা গেছেন। আমার আব্বুর জন্য দোয়া করবেন।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে হাসপাতালে প্রায় দুই বছর ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় আসেন নায়ক ফারুক। অভিনয়ের জন্য ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৬ সালে ভূষিত হয়েছেন আজীবন সম্মাননায়।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে সারেং বৌ, লাঠিয়াল, সুজন সখী, নয়নমনি, মিয়া ভাই, গোলাপী এখন ট্রেনে, সাহেব, আলোর মিছিল, দিন যায় কথা থাকে ইত্যাদি।
ডব্লিউজি/এমএইচএস