‘মোখা’র কারণে গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকবে

বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। ‘মোখা’র কারণে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সরবরাহ কমে আসায় তিতাসের আওতাধীন এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার (১৩ মে) বেলা সোয়া ১১টার দিকে এ তথ্য জানায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

তিতাসের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোরশেদ আলম বলেন, ‘মোখার কারণে এলএনজি সরবরাহ হ্রাস পাওয়ায় তিতাস অধিভুক্ত এলাকায় গ্যাসের চাপ কমে স্বল্প চাপ বিরাজ করবে।’

মোরশেদ আলম আরও বলেন, ‘এলএনজি সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকবে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।’

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে সারাদেশে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নৌপথে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

আজ শনিবার (১৩ মে) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে এক সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ‘মোখা’র কারণে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ডব্লিউজি/এমএইচএস

শেয়ার করুন:

Recommended For You