‘স্বাধীনতাবিরোধীরা যেন কখনই ক্ষমতায় ফিরতে না পারে’: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, খুনি, স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও অগ্নিসংযোগকারীরা যাতে আর কখনই ক্ষমতায় ফিরতে না পারে তা নিশ্চিত করুন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ মে) যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির অদূরে ভার্জিনিয়ার রিজ কার্লটন হোটেলের হলরুমে প্রবাসীদের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনায় তিনি এ আহ্বান জানান। খবর ইত্তেফাক।

বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত ২৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে যান শেখ হাসিনা..। ১ মে তিনি বিশ্বব্যাংকের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এসব অনুষ্ঠান শেষে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ব্যানারে নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ২০১৩ থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত তথাকথিত আন্দোলনের নামে বহু মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাস্তার পাশের হাজার হাজার গাছ উজাড় করেছে। এই চক্র দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল…। আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছরে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে একে আবারও উন্নয়নের মহাসড়কে তুলেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। আমরা এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। বিএনপি-জামায়াত জোট ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ব্যবহার করে আমাদেরই বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব বিষয়ে কান না দেয়ারও আহ্বান জানান তিনি…।

বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সরকার অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, বাসস্থান, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ প্রতিটি খাতের উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই আমরা এটা করতে পেরেছি…। আওয়ামী লীগ সবসময়ই জনগণের কল্যাণে কাজ করে। দল যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়।

দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের দেশের উন্নয়নে প্রবাসীরা অনেক অবদান রেখেছেন। হুন্ডির পরিবর্তে বৈধ মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার যথাযথ প্রক্রিয়ায় রেম্যিটান্স প্রেরণকে উৎসাহিত করতে ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে।’’

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের পরও সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। চলমান যুদ্ধের কারণে উন্নতসহ অনেক দেশ সংকটে পড়লেও বহু দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা এখনও ভালো…।

ডব্লিউজি/এআর

শেয়ার করুন:

Recommended For You