‘স্বস্তির জন্যই আইএমএফের ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ’ : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ কিছুটা স্বস্তির জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে। এদিকে, বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি ভবিষ্যতেও এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে।

গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলে ওয়াশিংটনের হোটেল রিজ কার্টলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। সাক্ষাৎ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমরা আপনাদের যে লোনটা নিয়েছি আইএমএফের, একটা ‘ব্রিদিং স্পেস’ হিসেবে…। চলতি বছরের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে।’’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আইএমএফ এমডি প্রধানমন্ত্রীর অভূতপূর্ব প্রশংসা করেছেন। পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ রোল মডেল (সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে)। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি এই কোভিডের পরেও দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল রেখেছে।

মোমেন জানান, ক্রিস্টিলিনা জর্জিয়েভা বলেছেন, ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ভালো কানেক্টিভিটি এবং আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে…।

আইএমএফ প্রধানের সঙ্গে আলাপে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশের এই উন্নয়ন রাতারাতি হয়নি, এটা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ফসল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি যখন জেলে ছিলেন, তখন বাংলাদেশকে কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন—সেই পরিকল্পনা করেছেন এবং ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেন। এ সময় জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা… এবং নারীর ক্ষমতায়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

ব্রিফিংয়ে মোমেন ছাড়াও কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে আইএমএফ সব সময় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে; বাংলাদেশ কখনো এটি (পরামর্শ) থেকে বিচ্যুত হয়নি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে আইএমএফের সঙ্গে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত। বাংলাদেশ মাত্র দুই সপ্তাহের আলোচনায় এটি পেয়েছে, যেখানে বহু দেশ বছরের পর বছর আলোচনা করেও এই ঋণ পায় না। সূত্র: কালবেলা

শেয়ার করুন:

Recommended For You