বঙ্গবাজারে পুলিশের ওপর হামলা, ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকার বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের সময় পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগে নাম উল্লেখ না করে ২৫০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বংশাল থানার এসআই মো. ইসরাফিল বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার জাফর হোসেন গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, “বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর অগ্নি নির্বাপণের সময় ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তর ও সদস্যদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ বাধা দিতে গেলে…পুলিশের উপরও হামলা করা হয়। “পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে এই মামলা করা হয়েছে।”

মামলায় আসামি হিসেবে কারো নাম না থাকার কথা জানিয়ে বংশাল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুল হাসান কামাল বলেন, “ওই দিন ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের হামলা ছাড়াও পুলিশ উপর হামলা হয়। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এখনও হাসপাতালে একজন পুলিশ সদস্য ভর্তি রয়েছেন।“

মঙ্গলবার ভোরে দেশের অন্যতম বড় কাপড়ের মার্কেট বঙ্গবাজারে আগুন লাগে…। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস মিনিট দুইয়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেলেও বাতাসের মধ্যে ঘিঞ্জি ওই মার্কেটের আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিটের চেষ্টায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ততক্ষণে বঙ্গবাজার মার্কেট, মহানগর মার্কেট, আদর্শ মার্কেট ও গুলিস্তান মার্কেট পুরোপুরি ভষ্মীভূত হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাশের এনেক্সকো টাওয়ার এবং আরও কিছু ভবন।

ওইদিন বেলা সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলের পাশেই ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরে উত্তেজিত জনতা ঢিল ছোড়ে এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষে হামলা চালায়। তাতে ফায়ার সার্ভিসের অন্তত চার কর্মী আহত হন বলে এ বাহিনীর পরিচালক (অপারেশন্স) লেফটেন্যনন্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন…।

তিনি বলেছিলেন, “তারা হেডকোয়ার্টারে ভাঙচুর করেছে, কন্ট্রোল রুমে ঢুকেও বিশৃঙ্খলা করেছে…।” পরে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের তরফে জানানো হয়, সংস্থাটির প্রায় সাড়ে ছয়শত কর্মকর্তা-কর্মচারী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজে অংশ নেন। হামলার ঘটনায় তাদের আটজন সদস্য আহত হন।

“উচ্ছৃঙ্খল জনতা ফায়ার সার্ভিসের ১১টি গাড়ি এবং অধিদপ্তরের ভেতরে প্রবেশ করে ইআরসিসি ভবন ও রিসিপশন ভবন ভাঙচুর করে এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের মারধর করে। বাইরে থেকেও উচ্ছৃঙ্খল লোকজন অধিদপ্তরের ভেতরে বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। অগ্নিনির্বাপণের সময়ও আমাদের অনেক কর্মী মারধরের শিকার হন। পরে সেনাবাহিনী…, র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যগণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।”

অগ্নিকাণ্ডের পরদিন বুধবার ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল হামলাকারী চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।

ডব্লিউজি/এআর

শেয়ার করুন:

Recommended For You