থানচি বাজারে ভয়াবহ আগুনে পুড়ল ৫৫টি দোকান

মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে এবার বান্দরবানের থানচি উপজেলা সদরের এক মাত্র বাজারে ভয়াবহ আগুনে পুড়ল ৫৫টি দোকান। শনিবার (২৫ মার্চ) সকাল ৮টা এ ঘটনা ঘটে।

তার আগে বুধবার ২২ মার্চ থানচির বলি বাজারে আগুনে পুড়ে যায় ৫৩টি দোকান। স্থানীয় বাসিন্দা, প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট র্দীঘ দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।

থানচি ফায়ার সাভির্স ও সিভিল ডিফেসের টিম লিডার পেয়ার মাহমুদ জানান, শনিবার সকাল ৮টার দিকে ভয়াবহ আগুন লাগার খবর পায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় মোট ৫৫টির ব্যবসায়ী দোকান পুড়ে যায়।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাজারে মায়া গেস্ট হাউস নামে একটি দোকানের (মাচাংঘর) নিচে দীর্ঘদিনের ময়লা অবর্জনাস্তুপ ছিল। স্তুপের কেউ সিগারেটে আগুন ফেলে দিয়েছিল ঔ আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৬ কোটি টাকার পরিমান মালামাল ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তবে তদন্তের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিৎ জানা যাবে।

ক্ষতিগ্রস্থ দোকানদার তৌহিদ বলেন, বাজারে তার একটি নির্মাণ সামগ্রী দোকান ছিল। রড, সিমেন্ট ও বিভিন্ন ধরণের পাইপ বিক্রি করা হতো। আগুনে সব মালামাল পুড়ে গেছে। রডগুলো না পুড়লেও ক্ষতি হয়েছে। এগুলো আর বিক্রি করা যাবে না।

জামাল খলিফা ক্ষতিগ্রস্থ জানান, আগুন লাগার সাথে তাৎক্ষণিকভাবে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের কুন্ডলির কারনে কাছাকাছি পর্যন্ত যাওয়া যায় না। আগুনে কাপড়ের দোকানটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। দোকান থেকে কিছুই বের করা যায়নি। একবার আগুনে পুড়ে গেলে কয়েক বছরেও ঘুরে দাঁড়ানো যায় না।

মংম্যাসাইন মারমা আরেক ক্ষতিগ্রস্থ দোকানি জানান, তার কম্পিউটার ও কাপড়ে দোকান ছিল। দুটি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। সামনে মাসে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান সাংগ্রাই অনুষ্ঠানের জন্য অনেকগুলো কাপড়ের অর্ডার ছিল। এসব কাপড় পুড়ে গেছে। দুটি দোকান পুড়ে গিয়ে একদম পথের বসার মত অবস্থা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো: সুজন মিঞা জানান, ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তরে উর্ধতম কর্মকর্তাদের জানিয়ে দিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিকট জমা দিয়েছি সংশ্লিষ্টদের বরাদ্ধ পেলে ক্ষতিগ্রস্থদের বিতরনে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহা: আবুল মনসুর জানান, কয়েক দিনের ব্যবধানে আগুন লাগার ঘটনা খুবই দু:খজনক। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের সাথে সমন্বর করে ক্ষতিগ্রস্থদের কিছু সহযোগিতা করা হবে।

ডব্লিউজি/এআর

শেয়ার করুন:

Recommended For You