“মানুষ তার স্বপ্নের সমান নয় – চেষ্টার সমান বড়” এই উক্তিটির জ্বলন্ত উদাহরণ সাবরিনা জাহান রিমি। ছোট্র থেকে সাবরিনার পছন্দের পেশা ছিল শিক্ষকতা।স্বপ্ন পূরণ করার জন্য তিনি কলেজের পাঠ চুকিয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান উপকূলের বিদ্যাপীঠ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। পছন্দের বিষয় “কৃষি” নিয়ে স্নাতক পড়া শুরু করেন।
শুরু থেকেই স্বপ্নপূরণে ছিলেন বদ্ধ পরিকর। স্নাতকের শুরু থেকেই স্বপ্নপূরণে নিরবচ্ছিন্ন ও একনিষ্ঠ প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। কখনো থেমে যাননি। নোবিপ্রবি থেকে “কৃষি” বিষয়ে স্নাতক সম্পূর্ণ করার পর উচ্চশিক্ষা ও উচ্চতর গবেষণার জন্য “বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” ভর্তি হয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পূর্ণ করেন। এরই মাঝে ২০২০ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসার মাধ্যমে জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন। দক্ষ হাতে সংসারের দায়িত্ব সামলেছেন নিখুঁতভাবে।অবিচল সংকল্পে দূঢ অধ্যবসায়ে স্বপ্ন জয় করে হোন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। যোগদান করেন “সিটি ইউনিভার্সিটি ” এগ্রিকালচার ফ্যাকাল্টির প্রভাষক পদে।
তাঁর স্বপ্নজয়ের অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বেশির ভাগ পেশাজীবীর কাজ হচ্ছে ‘প্রোডাক্ট বা জিনিস’ তৈরি করা, আর শিক্ষকেরা তৈরি করেন মানুষ। অন্যদের ভুলে যে ক্ষতি হয়, সেটা আংশিক এবং পূরণীয়। আর শিক্ষকদের ব্যর্থতায় যে ক্ষতি হয়, সেটা সার্বিক, অপূরণীয়। তাই সেই শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় নিজের কর্মজীবন শুরু করতে পেরেছি এজন্য রাব্বুল আলামীনের কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা। বাবা ছোট্টবেলা থেকে যে স্বপ্ন বুনে দিয়েছেন সেটাই হয়ত এখন একটু একটু করে বড় হচ্ছে। নতুন জীবন, নতুন দায়িত্ব। সবার কাছে চোয়া চাই যেন আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যেন সঠিকভাবে সততা এবং নিষ্ঠার সাথে পালন করতে পারি এবং এই পেশাকে যেন আরো বেশি আলোকিত করতে পারি।
আলাপকালে আরও বলেন,সাথে যখন একজন সাপোর্টিভ এবং বিশ্বস্ত পার্টনার থাকে, স্বপ্ন পূরনে তখন আর কোনো বাধা থাকে না। দুজন মিলে একসাথে সব সমস্যা মোকাবেলা করি, পরিবার সামলাই এবং হাসিমুখে সামনে এগিয়ে যাই।
বিশ্ববিদ্যালয় জুনিয়রদের উদ্দেশ্য সাবরিনা জাহান রিনি বলেন, পড়াশুনার কোনো বিকল্প নেই।যারা নিজের সাবজেক্টিভ কিছু করতে চায় বা একাডেমিশিয়ান হতে হলে রেজাল্ট এবং নিজের সাবজেক্ট ভালো ভাবে জানার কোনো বিকল্প নেই।
ডব্লিউজি/এমআর/নিয়াজ