অপেক্ষার পালা শেষ। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে প্রাণের একুশে গ্রন্থমেলা-২০২৩। করোনা মহামারীর কারণে গত বছর নির্ধারিত সময়ের ১৫ দিন পর শুরু হলেও চলতি বছর ভাষার মাসের প্রথম তারিখ থেকে চলবে বই মেলা। বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারী) বিকেল ৩ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে উপস্থিত থেকে মেলা উদ্বোধন করবেন। এরপর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা দেওয়া হবে বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
গতকাল মঙ্গলবার শেষ দিনের মতো মেলা প্রাঙ্গণে হাতুড়ি-পেরেকের ঠোকাঠুকি, রং-ব্রাশের মাখামাখিতে ব্যস্ত সময় কাটান শ্রমিকেরা। নির্মাণ, সাজগোজের এই কর্মযজ্ঞের উপলক্ষ একটিই, আর তা হচ্ছে মেলাকে জমিয়ে তোলা। এবারের গ্রন্থমেলা একাডেমি চত্বর এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান…মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট এলাকা নিয়ে আয়োজিত হচ্ছে। এতে সর্বমোট ৬০১টি প্রতিষ্ঠান ৯০১টি স্টল বরাদ্দ নিয়েছে। থাকছে ৩৮টি প্যাভেলিয়ন। এছাড়া থাকছে ক্রেতা এবং দর্শনার্থীদের জন্য শিশু চত্বর, লিটিল ম্যাগাজিন চত্বরসহ বিশেষ আয়োজন।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৩ এর সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমি পরিচালক ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গতবছর করোনার কারণে নির্ধারিত সময়ে গ্রন্থমেলা শুরু করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। চলতি বছর নির্ধারিত সময়ে মেলা শুরু হওয়া শঙ্কা তৈরি হলেও অবশেষে…প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে ভাষার মাসের প্রথম দিনে মেলা উদ্বোধন করবেন।’
এ সময় তিনি বলেন, গত যে কোনো বছরের চেয়ে এবারের মেলা আরও বেশি লেখক-পাঠক জনপ্রিয়তা পাবে। সুপরিকল্পিতভাবে সাজানো হয়েছে এবারের প্রতিটি স্টল। মেলা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে অমর একুশে বইমেলার জন্য প্রত্যেক সেক্টর থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে…। এবারও একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরূল হুদাকে সভাপতি করে ৩১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি নানা বিষয়ে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
ডব্লিউজি/এআর