শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা বলেছেন, রুশ বাহিনী ইউক্রেনে আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। এমন পরিস্থিতিতে তারা আরও পশ্চিমা অস্ত্রের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি জাতির উদ্দেশে দেওয়া দৈনিক ভাষণে, ট্যাংকসহ আধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য প্রতিশ্রুতি প্রদানকারী দেশের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে, প্রতিশ্রুত অস্ত্র-ব্যবস্থার দ্রুত সরবরাহ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে ১১ জন আহত এবং ১১ জন নিহত হয়েছে।
ইউক্রেনের স্টেট ইমার্জেন্সি সার্ভিস জানিয়েছে, সারা দেশে ১১টি অঞ্চলে হামলা হয়েছে। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বলেছে যে রাশিয়া ৫৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তবে ইউক্রেন সেগুলোর বেশিরভাগকেই ভূপতিত করেছে। হামলায় ৩৫টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটশকো বলেন, ইউক্রেনের রাজধানীতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র একটি ভবনে আঘাত করলে এক জন নিহত হয় এবং আরও দুজন আহত হয়।স্টেট প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় বলেছে, ঝাপোরিঝিয়াতে রুশ হামলায় ৩ জন নিহত হয়েছে।এখানেই ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক কেন্দ্র অবস্থিত। এছাড়া , পশ্চিম ইউক্রেনের ভিনিতসিয়া অঞ্চলে এবং ওডেসার বাইরে আরও হামলা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসি বলেন, আইএইএ এর নিরাপত্তা কর্মীরা প্রায় প্রতিদিনই ঝাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রের কাছে বিস্ফোরণ হচ্ছে বলে খবর দিচ্ছে ।তারা জানিয়েছেন , বুধবার (২৫ জানুয়ারি) ৮টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) আরও বেশি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
পারমাণবিক কেন্দ্রের চারপাশে একটি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত অঞ্চল তৈরি করার জন্য সম্মত হতে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি । যাতে পারমাণবিক কেন্দ্রটি হামলার লক্ষ্যবস্তু না হয় এবং এটি আক্রমণের জন্য ব্যবহৃত না হয়। তিনি এমন আহবান জানিয়ে আসছেন গত কয়েক মাস ধরেই।
ডব্লিউজি/এমআর