যেসব লক্ষণে বুঝবেন জরায়ুমুখ ক্যান্সারের সম্ভাবনা

একটানা অনেকক্ষন বসে থেকে কাজ করলে বা দেহের ওজনের থেকে বেশি ভারি কিছু বহন করলে কোমরে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার পরও হালকা ব্যায়াম করে বা গরম সেঁক নিয়েও যদি সেই কোমরে ব্যথা না কমে, তখন তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সামান্য এই কোমরে ব্যথাও কিন্তু জরায়ু মুখের ক্যানসারের একটি লক্ষণ হতে পারে। আমেরিকায় প্রতি বছর প্রায় ৮৫০ জন রোগী জরায়ুমুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান। এ দেশে পরিসংখ্যানটি বেশ ভয় ধরানো। তাই সতর্ক থাকা জরুরি।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পেটের তলা থেকে কোমরের অস্থিসন্ধির হাড় পর্যন্ত যে কোনও প্রকার ব্যথা হলেও সতর্ক হওয়া উচিত। যদি ব্যথার মলম, ব্যায়াম বা সাধারণ চিকিৎসার পরও তা না কমে তখন বিষয়টি গুরুতর বলেই ধরে নিতে হবে। এ ছাড়াও বাইরে থেকে কিছু লক্ষণ দেখলেও সতর্ক হওয়া উচিত। ৩টি লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন-

১) ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও যৌনাঙ্গ থেকে রক্তপাত হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এ ছাড়াও দু’টি ঋতুস্রাবের মধ্যবর্তী সময়ে যদি কোনও কারণে রক্তপাত হয় অবশ্যই সাবধান হতে হবে।

২) প্রথম বার সঙ্গমের সময়ে ব্যথা হয় অনেকেরই। কিন্তু তার পরও যদি এই সমস্যা না কমে, সে ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে।

৩) একটা বয়স পর্যন্ত হরমোনের প্রভাবে যৌনাঙ্গ থেকে তরল নিঃসৃত হওয়াও স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। এই তরলের রং সাধারণত স্বচ্ছ বা সাদাটে। কিন্তু এই রঙে যদি হঠাৎই পরিবর্তন আসে বা তার গন্ধ পাল্টে যায়, সে ক্ষেত্রেও সচেতন হওয়া জরুরি।

চিকিৎসকদের মতে, উল্লিখিত লক্ষণগুলি প্রকাশ না পেলেও ৩০ বছরের পর থেকে বছরে ২বার প্যাপ স্মিয়ার পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক। এ ছাড়াও বেশ কিছু রক্ত পরীক্ষা করলেও বোঝা যায় শরীরে ক্যানসারের বীজ লুকিয়ে আছে কিনা।

সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা

ডব্লিউজি/এমআর

Recommended For You