যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করতে যান তারা পড়াশোনা শেষে দেশটিতে চাকরি খোঁজার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় পান। এক্ষেত্রে, তাদের নতুন ভিসা দেওয়া হয়।
এ ভিসার মাধ্যমে ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের ২ বছর এবং পিএইচডি করতে আসা শিক্ষার্থীদের ৩ বছরের সময় দেওয়া হয়। তবে, এই সময়টি কমিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান। আর এ নিয়ে এখন দেশটির শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে সুয়েলার কিছুটা দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসএক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
দ্য টাইমস জানিয়েছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ মন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান প্রস্তাব দিয়েছেন…, পড়াশোনা শেষে যারা যুক্তরাজ্যে থাকতে চান তাদের দক্ষতাসম্পন্ন চাকরি খুঁজে নিতে হবে। আর নয় ছয় মাস পর নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে।
সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, মূলত অখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে শর্ট কোর্স করতে আসা শিক্ষার্থীরা এ ভিসা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছেন। এ কারণে সরকার এখন নিজেদের নীতি পরিবর্তন করার পরিকল্পনা করছে । এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এটি অভিবাসনে পেছনের পথ হিসেবে অনেকে ব্যবহার করছেন ।
তবে, যুক্তরাজ্যের শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, পড়াশোনা শেষে কাজ পাওয়ার জন্য যে দুই বছরের ভিসা দেওয়া হয় সেটি ব্রিটেনের অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বি দেশেও রয়েছে। তাদের দাবি সরকার যদি এমন সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে বিদেশি শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যে আসার আগ্রহ হারাবেন।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল পরিসংখ্যান অফিসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতীয় শিক্ষার্থীরা এ ভিসার সুবিধা সবচেয়ে বেশি গ্রহণ করেন। এখন পর্যন্ত যত জনকে এ ভিসা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে ৪১ শতাংশই ভারতীয়।
প্রায় এক মাস আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক দেশটির শিক্ষা বিভাগকে নির্দেশনা দেন, তারা যেন যুক্তরাজ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমানোর ব্যবস্থা করেন।
ডব্লিউজি/এমআর