ইউক্রেনে ঢুকবে সারি সারি ট্যাংক

ইউক্রেনে লেপার্ড-২ ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি। দেশটির সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রও ইউক্রেনে এম-১ আব্রাম ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। যদিও দুই দেশের তরফ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। সম্প্রতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য পশ্চিমা মিত্রদের কাছে ট্যাংক চেয়ে আসছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তার। ইউক্রেনে যুদ্ধে সবচেয়ে উপযোগী ট্যাংক জার্মানির তৈরি লেপার্ড-১ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ‘‘ইউক্রেনে এই ট্যাংক পাঠানোর জন্য জার্মানিকে চাপ দিয়ে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো।

ইউক্রেনে লেপার্ড-২ ট্যাংক পাঠানো হবে কি না- এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলতি সপ্তায় ন্যাটো দেশগুলোর নেতারা জার্মানির সঙ্গে এক বৈঠকে বসেন। তবে ওই বৈঠকে জার্মানি কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। বরং বার্লিন শর্ত দেয়—যুক্তরাষ্ট্র তাদের আব্রাম-১ ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেই কেবল লেপার্ড-২ ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে’’। এমন অবস্থায় জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের উপরই দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার চাপ তৈরি হয়।

এরইমধ্যে ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ড জানায়, তাদের কাছে থাকা লেপার্ড-২ ট্যাংক কিয়েভে পাঠানোর জন্য জার্মানির কাছে আনুষ্ঠানিক অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এতে জার্মানির উপর চাপ আরও বাড়ে। জার্মানির বিরোধীদলগুলোও ইউক্রেনে লেপার্ড-২ ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে সরকারকে চাপ দেয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি যৌথভাবে ইউক্রেনে তাদের ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মূলত, ওয়াশিংটন কিয়েভে ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বার্লিন ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, ইউক্রেনে কয়েক ডজন আব্রাম-১ ট্যাংক পাঠানোর ঘোষণা যে কোনো সময় দিতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অন্যদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ইউক্রেনে ১৪টি লেপার্ড-২ ট্যাংক পাঠানোর ঘোষণা দিতে পারেন বুধবার সকালে।…নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়, ইউক্রেনে সবমিলিয়ে ৩০ থেকে ৫০ পর্যন্ত ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তবে কবে নাগাদ এসব ট্যাংক ইউক্রেনে পৌঁছানো যাবে সে ব্যাপারে কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, আধুনিক ট্যাংক পাওয়া গেলে যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়াকে পিছু হঠতে বাধ্য করা হবে। তবে রাশিয়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে আসছে, এমন ভারী অস্ত্র পাঠালে ইউক্রেনকে ভয়ংকর পরিণতির দিকে ঠেলে দেবে পশ্চিমারা।

ডব্লিউজি/এআর

শেয়ার করুন:

Recommended For You