করোনা অতিমারির কারণে গত দুটি বইমেলা ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুসারে ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন শুরু হতে পারেনি । পহেলা ফেব্রুয়ারিতে শুরুর মধ্যদিয়ে পুরোনো আমেজে ফিরবে এবারের অমর একুশে বইমেলা।
এদিকে অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ কে ঘিরে শেষ মুহূর্তে পুরোদমে চলছে প্রস্তুতি। এবারের মেলাও হবে দুটি অংশে। বাংলা একাডেমির মাঠে থাকবে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার স্টল। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ থাকবে প্রকাশকদের জন্য। উদ্যানের প্রায় ছয় লাখ বর্গফুট এলাকা নিয়ে হবে মেলার পরিসর। এবার মেলার মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘পড় বই গড় দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।
সরেজমিনে গিয়ে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেখা যায়, বাঁশ, কাঠ, টিন দিয়ে স্টল নির্মাণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন নির্মাণ শ্রমিকরা। মেলার অধিকাংশ স্টলই ফ্রেমে মুড়িয়েছেন ফেলেছেন শ্রমিকরা। বরাদ্দ পসওয়া স্টল নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ দিকে, খুব শিগগিরই প্যাভিলিয়নের কাজও শেষ হবে বলে জানিয়েছেন নির্মাণ শ্রমিকরা।
নাসির হোসেন নামে এক শ্রমিক বলেন, দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে। মালিকের হুকুম আছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ শেষ করতে হবে। তাছাড়া মেলারও তো বেশি দিন নাই, সাজগোছের একটা ব্যাপার আছে না!
মো. হামিদ নামে আরেক শ্রমিক কাঠ কাটতে কাটতে বলেন, ২৫-২৬ তারিখের মধ্যে সব কাজ শেষ করার কথা আছে। এসময়ের মধ্যে যেভাবেই হোক কাজ শেষ হবে। নির্মাণ কাজ শেষ হলেই প্রকাশকদের কাছে স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলো হস্তান্তর করা হবে।
প্রতিবার স্টল ও প্যাভিলিয়ন মিশ্রভাবে থাকলেও এবারের স্টল ও প্যাভিলিয়নের জন্য আলাদা সারি রয়েছে।
চলতি বছর অমর একুশে বইমেলাতে অংশ নিচ্ছে মোট ৫৭৫ প্রতিষ্ঠান। গত বছর এ সংখ্যা ছিল মোট ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠান। সেই সঙ্গে এবারের মেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৭২টি প্রতিষ্ঠানকে ৭১০টি স্টল ও বাংলা একাডেমীতে ১০৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৪৭টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ছোট-বড় প্যাভিলিয়ন থাকবে ৩৪টি।
প্রসঙ্গত, গেল বছর ২০২২ সালের বইমেলায় মোট ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৬টি ইউনিট স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০২টি প্রতিষ্ঠানের জন্য রয়েছে ১৪২টি স্টল। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৩২টি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে ৬৩৪টি স্টল। ৩৫টি রয়েছে প্যাভিলিয়ন।
সেই দিক বিবেচনায় চলতি বছরের বইমেলাতে ১টি প্যাভিলিয়ন সংখ্যা কমলেও এবছর প্রতিষ্ঠান ও স্টল সংখ্যা দুটোই বেড়েছে।