রাজধানীর প্রগতি সরণি এলাকায় বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ওই বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভাটারা থানায় করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয় ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) আ. আহাদ জানান, আজ সোমবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় ।
গ্রেপ্তার দু’জন হলেন- বাসের চালক মো. লিটন (৩৮) ও হেলপার মো. আবুল খায়ের (২২)। লিটন ভোলার ইলিশা গ্রামের মো. কালু মিয়ার ছেলে। আবুল খায়েরের গ্রামের বাড়িও ভোলায়, বাবার নাম হাসেম গরামি।
ডিসি আ. আহাদ জানান, ভিক্টর পরিবহনের বাসের চাপায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় আজ সকালে বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিক্টর পরিবহনের বাসটি জব্দ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর প্রগতি সরণি এলাকায় গতকাল রোববার দুপুরে ভিক্টর ক্ল্যাসিক পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় বেসরকারি নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাদিয়ার মৃত্যু হয়। পরে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করেন।
নিহতের স্বজন, সহপাঠী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সদরে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন নাদিয়া। বাবা স্থানীয় এক পোশাক কারখানার সহকারী মহাব্যবস্থাপক। নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর এই মাসে তিনি উত্তরা-৯ নম্বর সেক্টরে মেয়েদের একটি মেসে ওঠেন। গতকাল সকালে এক শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করে বইয়ের তালিকা নিতে বন্ধু মেহেদি হাসানের সঙ্গে বের হন। দুপুর পৌনে ১টার দিকে তাঁরা মোটরসাইকেলে নদ্দা এলাকার প্রগতি সরণিতে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন ভিক্টর ক্ল্যাসিক পরিবহনের বেপরোয়া বাসটি পেছন থেকে তাঁদের ধাক্কা দেয়। এ সময় নাদিয়া রাস্তায় ছিটকে পড়লে তাঁর মাথা থেঁতলে চলে যায় বাস।