পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব মডেলে দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কের দিকে যাচ্ছে চীন। এরই অংশ হিসেবে চীন বাংলাদেশের সঙ্গে পিপিপি নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে আগ্রহী ।
রোববার (২২ জানুয়ারী) বিকেলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এই আগ্রহের কথা জানান ঢাকায় চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, এর আগে, গত বছরের ২১ আগস্ট ঢাকায় বাংলাদেশ ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে চীনের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই পিপিপি সহযোগিতাবিষয়ক ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, এটি নতুন প্রস্তাব এবং চীনের এই প্রস্তাবকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা পিপিপিতে কাজ ও বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য বলেছি। চীন এতে সম্মতি দিয়েছে।
রোববারের (২২ জানুয়ারি) বৈঠক সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চীনা নববর্ষ দিবসে নতুন রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য অংশীদার হওয়ার… জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি করোনাভাইরাসের মহামারি মোকাবিলায় এবং চীন থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রত্যাবাসন এবং পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের চীনে প্রত্যাবর্তনে সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান চীন সরকারকে।
আলোচনায় শাহরিয়ার আলম আশা প্রকাশ করেন, নতুন রাষ্ট্রদূতের মেয়াদে ২ দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। দুই পক্ষই বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সংযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, কোভিড পরিস্থিতিসহ পারস্পরিক স্বার্থের দ্বিপক্ষীয় এবং বহুপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে আন্তরিক আলোচনা করেছে।
প্রতিমন্ত্রী সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপনের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং চীন থেকে শিল্প স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশকে উপযুক্ত স্থান হিসেবে বিবেচনা করার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান। তিনি মিয়ানমারের জোরপূর্বক…, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবর্তনে আলোচনার একটি প্ল্যাটফর্মের জন্য বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে সক্রিয় ভূমিকার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান।
ডব্লিউজি/এমআর