কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশের কৃষি উন্নত ও আধুনিক কৃষির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার সনাতন ও খোরপোষের কৃষিকে রূপান্তরের মাধ্যমে লাভজনক, সহনশীল ও টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছে।
গত বৃহস্পতিবার বার্লিনের স্থানীয় সময় বিকেলে দেশটির সিটি কিউবে বিশ্ব ব্যাংক এবং যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস ( এফসিডিও) আয়োজিত কৃষির রূপান্তর শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বলেন, এটিকে ত্বরান্বিত করতে বিশ্বব্যাংক ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার আরও বেশি অনুদান ও বিনিয়োগ প্রয়োজন।
কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশের কৃষিখাতে অর্জিত অভাবনীয় সাফল্য তুলে ধরে বলেন, দেশের কৃষিতে প্রথম বিপ্লব ঘটে স্বাধীনতার পরপরই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষির উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে কৃষি বিপ্লবের সূচনা করেন। আর দ্বিতীয় বিপ্লব ঘটে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬-২০০১ সালে ও ২০০৯ সাল থেকে এই ১৪ বছরে। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ১৯৯৯-২০০০ সালে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে।
তিনি বলেন, দেশের কৃষিতে এখন প্রবৃদ্ধি বছরে শতকরা চার ভাগের বেশি। ১৯৭১ সালের তুলনায় এখন চার গুণ বেশি খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়। ২০০৮ সালের তুলনায় সাত গুণ বেশি শাকসবজি উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশ আজ বিভিন্ন শাকসবজি, ফলমূল ও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ দশটি দেশের একটি। কৃষির এই সাফল্য আজ সারা বিশ্বেই প্রশংসিত হচ্ছে।
পরে কৃষিমন্ত্রী জার্মানির পার্লামেন্টারি স্টেট সেক্রেটারি ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার ক্লদিয়া মুলারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠকে জার্মান খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী ক্লদিয়া মুলার বাংলাদেশের কৃষিখাতে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার মো. সাইফুল ইসলাম, বিশ্বব্যাংক ও এফসিডিওর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারের (বিএমইএল) আয়োজনে ৪ দিনব্যাপী (১৮-২১ জানুয়ারি) ‘১৫তম গ্লোবাল ফোরাম ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার (জিএফএফএ)’ এবং বার্লিন কৃষিমন্ত্রীদের সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক অংশগ্রহণ করেছেন।
ডব্লিউজি/এআর