যুদ্ধবিমান চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ তুরস্কের

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ‘এফ১৬ যুদ্ধবিমান’ চেয়েছে তুরস্ক। যুদ্ধবিমান না দিলে তার প্রভাব ন্যাটোতেও পড়বে বলে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার ডয়েচে ভেলের এক রিপোর্টে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বাইডেন প্রশাসনের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, তুরস্ককে ৪০টি এফ১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রি করা হবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তা করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে একাধিক বিতর্ক হয়েছে এবং হচ্ছে। একাধিক ডেমোক্র্যাট সদস্যের বক্তব্য, ন্যাটোয় তুরস্কের ভূমিকা এবং রাশিয়া প্রসঙ্গে তাদের অবস্থান সঠিক নয়। ফলে তাদের ওই বিমান বিক্রি করা উচিত নয়। বৈঠক চলাকালীনও কংগ্রেসে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তুরস্ক ন্যাটোর একমাত্র দেশ যারা সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ভেটো দিয়েছে। কুর্দ আন্দোলনকারীদের তারা সন্ত্রাসী বলে ঘোষণা করেছে। সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডও তাদের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত না করলে তুরস্ক এই দুই দেশকে ন্যাটোয় ঢুকতে দেবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে। কুর্দদের একটি গোষ্ঠী আবার..সিরিয়ায় আইএস-বিরোধী লড়াইয়ে অ্যামেরিকার সঙ্গী।

ফলে অ্যামেরিকা তুরস্কের এই অবস্থান ভালো চোখে দেখছে না। অন্যদিকে রাশিয়া প্রসঙ্গেও তুরস্ক মধ্যপন্থি অবস্থান নিয়েছে। তারা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চায়। মধ্যস্থতা করতে চায়। অ্যামেরিকা এই বিষয়টিও ভালো চোখে দেখছে না। কিন্তু ওয়াশিংটনের বৈঠকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভাশোগলু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অ্যামেরিকা যুদ্ধবিমান বিক্রি না করলে তার প্রভাব কেবল দুই দেশের সম্পর্কের উপরেই পড়বে না, ন্যাটোতেও পড়বে। কার্যত হুমকির সুরেই একথা তিনি জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে।

বস্তুত, তুরস্কের চাপের মুখে অ্যামেরিকা ২০ বিলিয়ন ডলারের ফাইটার জেট বিক্রিতে কার্যত সম্মতি প্রকাশ করেছে। কিন্তু অ্যামেরিকা পাল্টা চাপ তৈরির কৌশল নিয়েছে। তারা বলেছে, ন্যাটোর নতুন দুই সদস্যের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তুরস্ক যে অবস্থান নিয়েছে…, তা বদলাতে হবে। সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের যোগদান তুরস্ককে মেনে নিতে হবে। তাহলেই তারা এই চুক্তিতে অগ্রসর হবে।

ডব্লিউজি/এআর

শেয়ার করুন:

Recommended For You