উকিল পাঁচ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র হলফনামায় ভুল করে ৫৫ লাখ টাকা লিখেছেন দাবি করে কীভাবে চার বছরে কোটিপতি হলেন তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম।মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে আপিল আবেদন করতে এসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি ওই ব্যাখ্যা দিয়েছেন। চার বছরে কোটিপতি হয়েছেন বলে হফনামায় উল্লেখ করেছেন, এই প্রসঙ্গে সামনে এলে হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, কিছু কিছু বিষয় থাকে যে তিলকে তাল বানায়। আমার হয়তো জমা দেওয়ার কথা ২০ লাখ ওরা হয়তো ৫০ লাখ করে দিয়েছে।
লিখতে তো আর সমস্যা হয় না, বলতেও সমস্যা হয় না। ঘাইটে দেখতে হবে কোটি কোটি টাকা আছে কিনা। এটা তো আমি চাইলেও লুকায়া রাখবে পাবরো না। আমার যদি কোটি কোটি টাকা ও এত সম্পদ থেকে থাকে দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) অবশ্যই খুঁজে দেখবে আমার এতো কিছু আছে কিনা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলন, সম্পদের পরিমাণ বলতে আমার কিছু ধানি জমি আছে। নতুন একটা বাসা করতেছি। আর একটা গাড়ি আছে। সম্পদের পরিমাণ কত হবে। গ্রামগঞ্জে জমির দাম আর কত হবে। ৫ লাখ টাকা কথা বলেছি উকিলে শূন্য একটা বেশি বসায়ে দিছে। উকিলের ভুলে সম্পদ বেড়ে গেছে। এটা আপনারা নিউজ করেছেন। এখন খুঁজে তো দেখতে হবে আমার এত টাকা আছে কিনা।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে দু’টি আসনেই মনোনয়নপত্র দাখিল করলে ১ শতাংশ ভোটেরর সমর্থন সূচক সইয়ের তথ্যে গড়মিল থাকায় রিটার্নিং কর্মকর্তা হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি মঙ্গলবার ( ১০ জানুয়ারি) আপিল করেন নির্বাচন কমিশনের কাছে।
এদিকে হিরো আলম তার হলমনামায় উল্লেখ করেছিলেন তার একটি প্রাইভেটকার, নয় শতাংশ বসতি জমি, ব্যাংকে জমা ৩০ হাজার টাকা ও ৫০ শতাংশ কৃষি জমি আছে। এছাড়াও স্ত্রীর ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ও পারিবারিক সঞ্চয়পত্র আছে ৫৫ লাখ।
ডব্লিউজি/এআর