যে খাবারে নিয়ন্ত্রণ করবে উচ্চ-রক্তচাপ

একজন সুস্থ মানুষের রক্তচাপ থাকার কথা ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি। কিন্তু সেটি যদি কারো পরপর দুইদিন ১৪০/৯০ এর বেশি থাকলে তখন সেটিকে উচ্চ রক্তচাপ বলে চিহ্নিত করা হয়। তবে রোগীর বয়স ৮০ বছর বা তার বেশি হলে রক্তচাপের পরিমাপক বেশি হবে।

উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনকে বলা হয় ‘নীরব’ ঘাতক। মূলত উচ্চ রক্তচাপ একটি জটিল সমস্যা।কেননা অনেকের মধ্যেই এ রোগ ধরা পড়ে না। আবার ধরা পড়লেও সঠিক চিকিৎসার অভাবে অনেকের এ রোগ জটিল আকার ধারণ করে। এখন শুধু বয়স্ক মানুষই নয়, যেকোনো বয়সী মানুষের মধ্যেই উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা দেখা দিতে পারে। সাধারণত বেশি ওজন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, সঠিক খাদ্যাভ্যাসের ঘাটতির কারণে এমনটা হয়। এ সমস্যায় চিকিৎসকের নির্দেশিত ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।

বেশ কিছু খাবার রয়েছে; যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে উপকারী ভূমিকা রাখে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু খাবারগুলোর সম্পর্কেঃ

গাজর: ক্লোরোজেনিক, পি কিউমেরিক, ক্যাফেইক অ্যাসিডের মতো ফেনোলিক যৌগ রয়েছে গাজরে। রক্তনালিকে রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে এই উপাদান; এমনকি কমায় প্রদাহ। ফলে কমে রক্তের চাপ।

পেস্তা বাদাম: হালকা সবুজ রঙের এই বাদাম রক্তচাপ কমাতে পারে।তে থাকা বিভিন্ন উপাদান হৃদপিণ্ড ভালো রাখে। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কয়েকটি পেস্তা বাদাম রাখতে পারেন।

টক জাতীয় ফল: উচ্চ রক্তচাপ থাকলে খাদ্যতালিকায় টক জাতীয় ফল রাখুন। এসব ফলে ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর থাকে। যা মানুষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এমনি ফলও খেতে পারেন।

টমেটো: টমেটোতে রয়েছে পটাশিয়াম ও ক্যারোটিনাইলয়েড পিগমেন্ট লাইকোপিন। এ উপাদান হৃদপিণ্ডের জন্য খুব ভালো। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যতালিকায় টমেটো রাখুন।

চিয়া ও তিসির বীজ: ছোট, দানাদার শস্যবীজ চিয়া ও তিসি। এই খাবারের পুষ্টিগুণ কিন্তু কম নয়। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবারের মতো উপকারী উপাদান। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

ব্রকোলিঃ ফ্ল্যাভানয়েডস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে ব্রকোলিতে। এই উপাদানগুলো রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ব্রকোলি খেলে রক্তনালী ও নাইট্রিক অক্সাইডের কার্যকারিতা বাড়ে। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

শেয়ার করুন:

Recommended For You