নৌকার কর্মীর বাড়ীতে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের হামলা

সাভারের আশুলিয়ায় ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার কর্মী যুবলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন মিয়ার বাড়ীতে হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এলাকায় আতংক সৃষ্টি করতে ৭/৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।

নৌকার ভোটারদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করার জন্যই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সুমন আহমেদ ভূইয়ার সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী জয়নাল আবেদীন মিয়া। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) ভোড় সাড়ে ৬টার দিকে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের পুর্ব জামগড়া গফুর মন্ডল স্কুল সংলগ্ন এলাকার যুবলীগ নেতা জয়নাল আবেদিনের নিজ বাড়িতে এ হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। গফুর মন্ডল স্কুল এই উপ-নির্বাচনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্র।

সরেজমিনে দেখা যায়, জয়নাল আবেদিনের বাড়ির জানালার গ্লাস, সিসি ক্যামেরা ভাঙ্গা ও বিদ্যুৎতের মিটার পড়ে আছে। সিসি ক্যামেরা ভাঙ্গার পূর্ব পর্যন্ত রেকর্ড হওয়া ফুটেজে দেখা যায় ৮/১০ জন মুখোশধারী রড, লোহার পাইপ দিয়ে জানালার গ্লাস ও বিদ্যুৎতের মিটার ভাঙচুর করছে। এসময় তারা বাড়ির কেচিগেটের ভিতরে প্রবেশ করে সিড়ির নিচে রাখা বিভিন্ন জিনিস ভাংচুর করে।

যুবলীগ নেতা জয়নাল আবেদিন বলেন, আমাদের ইয়ারপুর ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনে বহিস্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা সুমন আহম্মেদ ভুঁইয়াকে দল থেকে নমিনেশন না দেওয়ায় সে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছে। আমারা আওয়ামী করি দল যাকে নমিনেশন দিবে আমরা তার নির্বাচন করবো এটাই স্বাভাবিক। দল মোশারফ হোসেন মুসা ভাইকে নৌকা প্রতীক দিয়েছে, তাই আমরা তার নির্বাচন করছি। সুমন আহম্মেদ ভুঁইয়া আমাকে অনেক দিন ধরে তার নির্বাচন করার জন্য হুমকি দিচ্ছে, কিন্তু আমি তার কথা না শুনার কারনে সে পরিকল্পিত ভাবে আজ সকালে সুমন আহম্মেদ ভুঁইয়ার বোন জামাইয়ের নেতৃত্বে সম্রাট, নিবিড়, রাজু, রনি, মিরাজ ও সুমন মীর সহ ৮ থেকে ১০ জন লোক আমার বাড়িতে হামলা চালায়।

তিনি আরও বলেন, তারা আমার বাড়ির জানালা কারেন্টের মিটার ভাংচুর করে এবং আমাকে হত্যর উদ্দেশ্য কয়েক রাউন্ড গুলি করে পড়ে আমাদের ডাক চিৎকারে এলাকার মানুষ এলে তারা পালিয়ে যায়। এঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ইন্টিলিজেন্স) মিজানুর রহমান। ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি সাভার সার্কেলের এসপি স্যারের সাথে কথা বলেন। সাভার সার্কেলের পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলামের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এডিশনাল এসপি কাফী স্যার বক্তব্য দিবেন।

এডিশলনাল এস.পি আব্দুল্লাহ হীল কাফির নাম্বারে কল করলে তিনি রিসিভ করেন নাই।

ডব্লিউজি/এআর

শেয়ার করুন:

Recommended For You