‘মেট্রোরেলের সংস্পর্শ পাবে ঢাকার মানুষ’

জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার ঢাকা অফিসের প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তমোহিদে বলেছেন, মেট্রোরেল স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সহযোগিতা করবে। তিনি বলেন, আমি মেট্রোরেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে খুব খুশি। মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন ৬ এর মাধ্যমে শিগগিরই বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। ঢাকার মানুষ মেট্রোরেলের সংস্পর্শ পাবে। ঢাকার সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের চলাচলে এই সংযোজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের সি ব্লকের খেলার মাঠে মেট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে শুভেচ্ছা বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। এমআরটি লাইন ৬ প্রসঙ্গে তমোহিদে বলেন, এমআরটি খুবই চমৎকার একটি পরিবহন। এটা খুব আরামদায়ক হবে, বিশেষ করে নারীদের জন্য। আমি নিশ্চিত আপনারা এটা ব্যবহার করার পর সেই অনুভূতি পাবেন। এটি বায়ু দূষণ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্পে জাইকা ভ্রমণ শুরু হয়েছিল ১৪ বছর আগে। জাইকার হেডকোয়ার্টারে এ প্রকল্পের সঙ্গে দশ বছর আগে আমি পরিচতি হই। আজকে এ সময়ে মেট্রোরেলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে আমি বিশেষভাবে আনন্দিত। এছাড়া এমন সময়ে এটা চালু হচ্ছে যখন বাংলাদেশ-জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির বছর।

এ সময় ইচিগুচি তমোহিদে হোলি আর্টিজানে মেট্রোরেল প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিসান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত জাপানি নাগরিকদের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, হোলি আর্টিসান আমাদের জন্য খুব খারাপ সময় ছিল। সে সময় আমরা অতিক্রম করেছি…। এ ঘটনার পরও দু’দেশের টিমওয়ার্ক এবং বিশ্বাসের কারণে আজকের এ দিনটিতে আমরা আসতে পেরেছি। মেট্রোরেল মনে রাখার মতো একটি প্রকল্প। এটা খুবই সফল প্রকল্প।

বাংলাদেশ ও জাপানের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তমোহিদে। উল্লেখ্য, ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ চলছে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সহযোগিতায়।

ডব্লিউজি/এআর

শেয়ার করুন:

Recommended For You