৭ হাজার কাউন্সিলর ও ১ লাখ ডেলিগেট উপস্থিত থাকবে আ’লীগের সম্মেলনে

আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে কাউন্সিলরের সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার, ডেলিগেটের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যাবে। এতে ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও এবার বিদেশের কোনও রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। অতিথি ও কাউন্সিলর মিলিয়ে লক্ষাধিক লোক উপস্থিতির আয়োজন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলন মঞ্চ পরিদর্শনে গিয়ে এসব তথ্য জানান দলটির নেতারা।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, ৩০-৩৫ হাজার লোকের বসার ব্যবস্থা থাকবে। নেতাকর্মী সকলেই সহযোগিতা করছে, যাতে আমাদের কাজটা দ্রুত এবং কম খরচে হয়। ২৪ ডিসেম্বর সকালের দিকে সম্মেলনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।

তিনি বলেন, যেহেতু একদিনের সম্মেলন হবে এবার, গেলো বার দুই দিনব্যাপী ছিল। প্রথম অধিবেশনের পরে খাবার ও নামাজের বিরতি হবে। তারপরেই আমাদের মূল অধিবেশন, কাউন্সিল অধিবেশন হবে। সারা দেশ থেকে কাউন্সিলরা এসে উপস্থিত হবেন, সেই সংখ্যাটা প্রায় ৭ হাজার। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি করা হবে।

কাজী জাফরউল্লাহ আরও বলেন, এবারের সম্মেলনে নেতাকর্মী ও অতিথি মিলিয়ে লক্ষাধিক লোক অংশগ্রহণ করবেন। ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর বাইরে বিদেশের কোনও রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম জানান, এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো—‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রত্যয়’।

তিনি জানান, মঞ্চের দৈর্ঘ্য ৮০ ফিট, প্রস্থ ৪৪ ফিট। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে তৈরি হচ্ছে মঞ্চ। এর মধ্যে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র থাকবে। পেছনে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি থাকবে। সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ছবিও থাকবে। আরও থাকবে জাতীয় চার নেতার ছবিসহ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শামসুল হক এবং মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশের ছবি।

মির্জা আজম আরও জানান, সম্মেলনে প্রবেশের জন্য ৫টি গেট থাকবে। এরমধ্যে ভিআইপি গেট থাকবে। ৪টা গেট থাকবে কাউন্সিলরদের প্রবেশের জন্য। ডেলিগেটের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যাবে। সকাল ৭টা থেকে কাউন্সিলর-ডেলিগেটদের প্রবেশের গেট খুলে দেওয়া হবে। ৫০ হাজার মানুষের আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকবে। সকল উপকমিটির সমন্বয়ে আমাদের বিশাল এই কর্মযজ্ঞ সম্পাদিত হবে। ২২-২৩ ডিসেম্বরের আগেই আমাদের সকল কাজকর্ম সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।

 

শেয়ার করুন:

Recommended For You