সৌদি আরবের আদালত একজন সৌদি নারী এবং তার প্রবাসী স্বামীসহ বাণিজ্যিক সংস্থার ২৩ জন ব্যক্তিকে ১১১বছরের জেল এবং ২৮.৬ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল জরিমানা করেছে।
আদালত অপরাধের সাথে জড়িতদের অনুরূপ মূল্যের অর্থ বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি তাদের জেল এবং জরিমানা প্রদানের পরে প্রবাসীদের নিজ দেশে নির্বাসনের নির্দেশ দিয়েছে।
জানা যায়,অপরাধীদের অবৈধ পদ্ধতিটি ছিল সৌদি নাগরিক এবং সৌদিতে বসবাসরত প্রবাসীদের একটি বড় অংশকে লক্ষ্য করে তাদের সাথে যোগাযোগ করে এবং তাদের ভার্চুয়াল মুদ্রা, সোনা, তেল, প্রিপেইড কার্ড এবং বিদেশী অবৈধ বিনিয়োগের জন্য প্ররোচনা করে প্রতারিত করা।
একবার তারা ভুক্তভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর পেয়ে গেলে তারা অ্যাকাউন্টের সমস্ত অর্থ তুলে নেয় এবং ভুয়া বাণিজ্যিক সংস্থার নামে অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তরিত করে তা সৌদি আরবের বাইরে বিভিন্ন দেশে পাঠাতো।
তদন্ত পদ্ধতিতে দেখা গেছে যে প্রবাসী (নাগরিকের স্বামী) পুরুষ ও মহিলা নাগরিকদের তাদের নামে ভুয়া প্রযুক্তিগত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খুলতে, তাদের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে, তার দ্বারা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে এবং ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের জন্য ব্যবহার করতে প্ররোচিত করেছিল এবং তাদের রাজ্যের বাইরে স্থানান্তর করে।
তদন্তের আরও জানা গেছে যে, অপরাধীরা কিছু অর্থ ভুক্তভোগীদের অ্যাকাউন্টের মধ্যে স্থানান্তর করে,যাতে তারা তাদের উপরে বিশ্বাস স্থাপন করে। তাদের নিকট প্রেরিত অর্থ দ্বিগুণ করে দ্রুত ধনী হওয়ার জন্য তাদের প্রলুব্ধ করেছিল।
পাবলিক প্রসিকিউশনের একটি অফিসিয়াল সূত্র জানিয়েছে যে, অপরাধীরা ভুক্তভোগীদের জাল বিনিয়োগ প্রদর্শন করার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করেছিল ।তবে তারা কোন দেশের নাগরিক তা প্রকাশ করা হয়নি ।
আর্থিক জালিয়াতি, মানি লন্ডারিং, জাল টাকা, এবং তথ্য অপরাধের বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে অপরাধীদের এর আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল,উক্ত অপরাধের সাঁজা হিসেবে আদালতে এই রায় প্রদান করেন।