জনির বিরুদ্ধে মামলা নিষ্পত্তি

হলিউডের জনপ্রিয় তারকা আম্বার হার্ড সম্প্রতি ইন্সটাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করেন । সেখানে তিনি জানিয়েছেন, তার প্রাক্তন স্বামী পাইরেটস অব দ্যা ক্যারিবিয়ান চলচ্চিত্র খ্যাত জনি ডেপের বিরুদ্ধে তার করা মানহানির  মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে এবং মামলাটি আর চালিয়ে নিতে চান না ।

পোস্টে তিনি মিমাংসার কথা প্রকাশ করেননি।  তবে  ভার্জিনিয়া আদালতের রায়ে জনি ডেপকে ১০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার রায়ে অটল থাকলে মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে আসেন তিনি ।

অ্যাম্বার তার ইন্সটাগ্রাম নোটে লিখেছেন, ‘ভার্জিনিয়ায় আমার প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য আমি অনেক চিন্তাভাবনা করার পর খুব কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি মামলাটি থেকে রেহাই চাই।  তবে এটা সত্য যে আমি কখনোই এটি বেছে নিইনি। আমি সত্যকে রক্ষা করতেই আইনের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। এটা করতে গিয়ে আমার জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে অপমানজনক আচরণের সম্মুখীন হয়েছি, সেটি আধুনিক যুগে নারীদের প্রতি নির্মমতার নতুন সংস্করণ। অবশেষে এখন আমার এমন কিছু থেকে নিজেকে মুক্ত করার সুযোগ আছে, যা আমি ছয় বছর আগে ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিছু শর্তে আমি সম্মত হতে পারি। ’

এছাড়া,আমেরিকার বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা হারানোর বিষয়টিও উল্লেখ করেন। আম্বার দাবি করেছেন, ইংল্যান্ডের আদালতে অনেক বেশি সম্মানের সঙ্গে মামলা লড়া যায়। সেখানকার বিচারপদ্ধতিও সংগত, সত্যনিষ্ঠ। তিনি বলেন, ‘যখন আমি যুক্তরাজ্যের একজন বিচারকের সামনে দাঁড়ালাম, তখন আমি একটি শক্তিশালী, নিরপেক্ষ এবং ন্যায্য বিচারব্যবস্থা পেয়েছিলাম। সেখানে আদালত প্রমাণ খুঁজে পেয়েছিলেন যে আমি পারিবারিক ও যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছি। কিন্তু আমেরিকায় আমি সেই ন্যায্যতা পাইনি। ’

২০১৫ সালে অ্যাম্বার ও জনি বিয়ে করেছিলেন লস অ্যাঞ্জেলেসের তাদের বাড়িতে একটি গোপন অনুষ্ঠানে।  ২০১৬ সালের মে মাসে অ্যাম্বার জনির কাছ থেকে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ পান। তিনি বলেছিলেন যে জনি তাদের সম্পর্কের সময় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছিল। জনি এটি প্রায়ই করত, যখন নেশায় থাকত।

আলোচিত এই মানহানি মামলায় অ্যাম্বার হার্ডকে দোষী করে রায় দেন আদালত। এর ফলে ডেপকে ১০.৪ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয় অ্যাম্বারকে। মামলায় পরাজিত হওয়ার পাশাপাশি বিশাল অঙ্কের অর্থের জরিমানা গুনতে হবে অ্যাম্বার হার্ডকে, যা এই মুহূর্তে অ্যাম্বারের জন্য খুব দুঃসাধ্য ব্যাপার ছিল। তাই মামলাটির রায়ের জন্য পুনরায় আপিল করেছিলেন অ্যাম্বার। নভেম্বরের শেষের দিকে আপিল করে ৬৮ পৃষ্ঠার একটি নথি জমা দিয়েছিলেন অ্যাম্বার। তবে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তারকার নেই, এমনটাই জানা গেছে। তাই অবশেষে মামলাটি নিষ্পত্তিতে পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অ্যাম্বার।

 

 

শেয়ার করুন:

Recommended For You