‘আমার নির্দোষ মেয়েটা ফেঁসে গেল’ বললেন বুশরার বাবা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনায় তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরা বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিনের করা মামলার প্রেক্ষিতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে রয়েছে। গত বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রথমে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানায়, হত্যা নয়, আত্মহত্যা করেছেন ফারদিন। একই দিন সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, স্বেচ্ছায় নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন ফারদিন।

পুলিশ ও র‌্যাবের এমন তথ্য-উপাত্ত প্রকাশের পর হত্যা মামলায় আটক বুশরার দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বুশরার বাবা মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, আমার নির্দোষ মেয়েটা ফেঁসে গেল। ফারদিনের মৃত্যুতে আমার মেয়ের কোনো সংশ্নিষ্টতা নেই। অহেতুক তাকে দীর্ঘদিন কারাগারে কাটাতে হচ্ছে। তাই অতি দ্রুত আমার মেয়েটার মুক্তি চাই।

তিনি আরও জানান, তাকে যত দ্রুত মুক্ত করা যাবে, তত দ্রুত তাকে স্বাভাবিক জীবনে আনা যাবে, আর তা হবে পরিবারের জন্য মঙ্গল। এদিকে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশিদ জানান, ফারদিন হত্যা মামলায় বান্ধবী বুশরার সংশ্লিষ্টতা নেই, তাকে বাদ দিয়ে দ্রুত মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হবে। তবে বাকিটা আদালতের সিদ্ধান্ত।

অবশ্য শুরু থেকেই বুশরার পরিবার বলে আসছে, ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনায় তার কোনো হাত নেই। সন্দেহের বশে বুশরাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এতে তার জীবন বিপর্যস্ত। শিক্ষাজীবনেও নেমে এসেছে অনিশ্চয়তা। বুশরার স্বজনরা জানান, আগামী ৫ জানুয়ারি ঢাকার একটি আদালতে বুশরার জামিন আবেদনে শুনানি হবে। তার আগ পর্যন্ত তাকে কারাগারেই থাকতে হবে।

ডব্লিউজি/এমএ

শেয়ার করুন:

Recommended For You