
ক্রিকেট ইতিহাসের বাংলাদেশের বুকে সেরা অর্জন। পর পর দুটি ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এই অবিশ্বাস্য জয় এই দুর্দান্ত ও শ্বাসরুদ্ধকর মূহুর্ত ধরে রাখার পেছনে একক কৃতিত্ব মেহেদী হাসান মিরাজের। ভারত ও বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচটিতে মেহেদী হাসান মিরাজ একাই লড়েছেন খেলেছেন তিনি। ধ্বংসস্তুপ থেকে দলকে নিয়ে গেছেন জয়ের দ্বারপ্রান্তে।
প্রথম ম্যাচে মিরাজ ৩৯ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে আসেন। দ্বিতীয় খেলায় সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে নেমেও বিপাকে পড়ে যায় টাইগাররা। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই অবস্থা থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ১৬৫ বলে ১৪৮ রানের জুটি গড়েন মিরাজ। এরপর নাসুম আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে ২৩ বলে ৫৪ রানের ঝড়ো পাটর্নারশিপ গড়েন মিরাজ। এদিন ৮৩ বলে ৮টি চার আর ৪টি ছক্কার সাহায্যে ক্যারিয়ারের সেরা ১০০ রানের ইনিংস খেলেন মিরাজ। তার এই অনবদ্য সেঞ্চুরিতেই ৭ উইকেটে ২৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। ব্যাটে-বলে এবং ফিল্ডিংয়ে এমন দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখানো খেলা শেষে মেহেদি হাসান মিরাজকেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
শেষ ওভারে সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে মিরাজের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। শার্দুল ঠাকুরের করা ওই ওভারে দুটি ছক্কা এক ডাবল আর এক সিঙ্গেল নিয়ে শতরানের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন মিরাজ।খেলা শেষে তিনি বলেন, গত কয়েক বছর আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং আমাকে বিশেষ ক্ষেত্রগুলোতে ফোকাস করতে হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কিভাবে খেলতে হয় সে সম্পর্কে কোচ আমাকে অনেক পরামর্শ দিয়েছেন।
ডব্লিউজি/এআর