উঠোন থেকে মহিলাকে টেনে নিয়ে গেল চিতাবাঘ, অত:পর…

উঠোন থেকে এক মহিলাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল চিতাবাঘ। এ ঘটনায় ওই মহিলাকে উদ্বার করতে গিয়ে আহত হয়েছে আরও দুইজন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ভারতের উত্তরাখণ্ডের দ্বারাহাট নগরের ভৌরা গ্রামে। ওই ব্যক্তির নাম বচুলী এবং পুষ্পা দেবী। তারা বাড়ির উঠোনে কাজ করছিলেন।

মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদসংস্থা আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। বলা হয়েছে, তারা নিজেদের মধ্যে গল্প করছিলেন। আর সেই সঙ্গে কাজও। কিন্তু তাঁরা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি, উঠোনের এক কোনা থেকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাঁদের উপর নজর রাখছে চিতাবাঘ। হঠাৎই একটা গোঁ গোঁ আওয়াজ পেয়ে বচুলী দেবী আওয়াজের উৎসের দিকে নজর ঘোরাতেই ঝড়ের গতিতে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি চিতাবাঘ।

আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইনে বলা হয়, বচুলীকে জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই পুষ্পা বাঘের দিকে তেড়ে যান। তখন আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে চিতাবাঘ। বচুলীকে ছেড়ে এ বার পুষ্পার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সেটি। চিৎকার করে ছেলেকে ডাকতে শুরু করেন পুষ্পা। তত ক্ষণে বচুলী আহত হয়ে মাটিতে পড়েছিলেন। আর পুষ্পা বাঁচার চেষ্টা করছিলেন। বাইরে চিৎকারের আওয়াজ শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে পুষ্পার ছেলে দেখেন চিতাবাঘ তাঁর মায়ের উপর হামলা করেছে। তৎক্ষণাৎ চিতাবাঘটিকে মারতে যান পুষ্পার ছেলে সুমিত।

কিন্তু এ বার পুষ্পাকে ছেড়ে সুমিতের দিকে তেড়ে যায় বাঘ। তাঁকেও আহত করে। তার পর সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পুষ্পাদের আওয়াজ পেয়ে গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন। তাঁদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু বচুলী এবং পুষ্পা গুরুতর জখম হওয়ায় জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনার পর গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বাঘটিকে ধরার জন্য বন দফতরের কাছে খবর পাঠিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু বাঘের কোনও হদিস পাননি বনকর্মীরা। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক আরও বেড়েছে ওই গ্রামে।

ডব্লিউজি/এআর

শেয়ার করুন:

Recommended For You