যে দলে ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রাফিনিয়া, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, রিচার্লিসনদের মতো উঠতি তারকারা আছেন, সে দলে নেইমার জুনিয়েরের অভাব না থাকারই কথা। তবে সে কথার এবার প্রমাণ দেওয়ার সময় চলে এসেছে। আজ ব্রাজিল যখন নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে, তখন যে পাবে না নেইমারকে! গোড়ালির চোটের কারণে পিএসজি তারকাকে গ্রুপ পর্বে আর পাওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই পাঁচ বারের বিশ্বকাপজয়ীদের।
নেইমার না থাকায় তার জায়গায় খেলবেন কে, এ নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। তবে নেইমারের খেলার ধরনের কারণে তার বিকল্প খুঁজে পাওয়াটা দুষ্করই হবে কোচ তিতের জন্য। তিতে যেমন কাল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘নেইমার নিঃসন্দেহে এক্সটা অর্ডিনারি খেলোয়াড়। একটি ম্যাচে তিন-চারটি বিশেষ মুহূর্ত আসে। সেই মুহূর্ত তৈরি করার ক্ষেত্রে নেইমারের অবদান থাকে।’
বলের দখল, দারুণ সব ড্রিবল, পাসে সুযোগ সৃষ্টি করা, দারুণ ফিনিশিং মিলিয়ে নেইমার ব্রাজিলের জন্য একটা ‘কমপ্লিট প্যাকেজ’। গেল কোপা আমেরিকার কথাই ধরুন, প্রতি ম্যাচে সেবার নেইমারের প্রত্যাশিত গোলে অবদান ছিল ১.৭, যা সেই টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসির প্রায় দুই গুণ! আর নেইমার এমন সব কাজ অবশ্য করে যাচ্ছেন শেষ দশ-বারো বছর ধরেই। এমন একজনের বিকল্প খুঁজে বের করাটা যে চাট্টিখানি কথা নয়!
নেইমারের ফেলে যাওয়া একাদশের জায়গাটায় দেখা যেতে পারে রদ্রিগো গোয়েজকে। তবে রিয়াল মাদ্রিদে তাকে দেখা যায় বিপরীত পাশে, ডান উইংয়ে, ফলে বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে তাকে দিয়ে এমন কিছু করানোর সিদ্ধান্ত না-ও নিতে পারেন তিতে।
লুকাস পাকেতাকে দেখা যেতে পারে এই ভূমিকায়, প্রতিপক্ষে জোন ১৪ অঞ্চল থেকে লেফট হাফ স্পেসে ইনসাইড প্লেমেকার হিসেবে। ক্লাব দল ওয়েস্ট হ্যামেও এই ভূমিকায় দেখা যায় তাকে। পাকেতাকে তার আগের ভূমিকায় রেখে ব্রুনো গিমারেসকেও দেখা যেতে পারে নেইমারের জায়গায়। তবে নিউক্যাসল মিডফিল্ডার ক্লাবে যত ভালো পারফর্মই করুন না কেন, কোচ তিতের বিশ্বাসটা অর্জন করতে পারেননি বিশ্বকাপের আগের ‘অগুরুত্বপূর্ণ’ সব প্রীতি ম্যাচেও, সেই তিতে তাকে বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে নেইমারের জায়গায় খেলিয়ে দেবেন, সেটা তাই দূর কল্পনাই হয়ে যায়।