যেসব বিষয়ে ঢাকা ও নয়াদিল্লির সমঝোতা চুক্তি হলো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে চার দিনের সরকারি সফরের দ্বিতীয় দিনে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্বাক্ষর (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এসব সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

এগুলো হলো, অভিন্ন সীমান্ত নদী কুশিয়ারা থেকে ভারত ও বাংলাদেশের পানি প্রত্যাহারের বিষয়ে ভারত সরকারের জলশক্তি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক; ভারতে বাংলাদেশের রেলওয়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে ভারতের রেল মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের রেলওয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক; বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য এফওআইএস ও অন্যান্য আইটি অ্যাপ্লিকেশনের মতো আইটি সিস্টেমে সহযোগিতার জন্য ভারতের রেল মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের রেলওয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।

অন্য সমঝোতা স্মারকগুলো হলো, ভারতে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল অফিসারদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচির বিষয়ে ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল অ্যাকাডেমি এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে সমঝোতা স্মারক; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহযোগিতার বিষয়ে ভারতের কাউন্সিল ফর সাইন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) ও বাংলাদেশের কাউন্সিল অব সাইন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (বিসিএসআইআর)-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক, মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক এবং প্রসার ভারতী ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) মধ্যে সম্প্রচার সহযোগিতা সংক্রান্ত স্মারক।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের আগে হায়দরাবাদ হাউজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তাদের আলোচনায় নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, অভিন্ন নদীগুলোর পানিবণ্টন, রোহিঙ্গা, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক ও মানবপাচার মোকাবিলার মতো পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলো প্রাধান্য পায়।

এর আগে, শেখ হাসিনা হায়দরাবাদ হাউজে পৌঁছালে নরেন্দ্র মোদি তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সেখানে গার্ড অব অনারও প্রদান করা হয়। এ সময় দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। সফরের তৃতীয় দিন আগামীকাল বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তাদের বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদানের একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

সফরের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় ফেরার আগে রাজস্থানের খাজা গরিব নওয়াজ দরগাহ শরিফ ও আজমির শরিফ দরগাহ পরিদর্শন করবেন শেখ হাসিনা।

ডব্লিউজি/এমএ

শেয়ার করুন:

Recommended For You