বিএনপির মানবাধিকার লঙ্ঘন বিশ্বদরবারে তুলে ধরা হবে : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন ঠাণ্ডা মাথার খুনি, সকালবেলা নাস্তা করতে করতে ফাঁসির আদেশে তিনি সই করতেন। ১৯৭৭ সালে হত্যার শিকার বিমান ও সেনাবাহিনীর অফিসার ও জওয়ানদের বোবা-কান্না, বিএনপি ও জিয়ার মানবাধিকার লঙ্ঘন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন থেকে শুরু করে আমরা বিশ্বঙ্গনে নিয়ে যাব। যারা মানবাধিকারের কথা বলে এদেশে প্রপাগান্ডা ছড়ায় তাদের স্বরূপ উন্মোচন করা হবে।

তিনি বলেন, আজকে দাবি উঠেছে একটি শক্তিশালী কমিশন গঠন করে জিয়াউর রহমান সেনা ও বিমান বাহিনীর যেসব অফিসার এবং জওয়ানদের হত্যা করেছিল সেই সত্য উন্মোচন করে জাতির কাছে জানানো। আমি এই দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করছি। শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গুম-খুনের রাজনীতির কালো অধ্যায় নিয়ে দীপ্ত টেলিভিশন নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘গণফাঁসি ৭৭’ প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ‘মায়ের কান্না’ ও দীপ্ত টেলিভিশনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় সম্মানিত আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) গোলাম হেলাল মোর্শেদ খান বীরবিক্রম, দীপ্ত টেলিভিশনের সিইও এবং ‘গণফাঁসি ৭৭’ প্রামাণ্যচিত্রের পরিচালক ফুয়াদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমদ, দীপ্ত টিভির সিইও ফুয়াদ চৌধুরী, মায়ের কান্না সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মো. কামরুজ্জামান মিঞা লেলিনসহ ১৯৭৭ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কর্তৃক গুমের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে এখানে যারা বক্তব্য রেখেছেন তারা জানেন না তাদের বাবা ও স্বামীর কবর কোথায়। কখন ফাঁসি হয়েছে, কিভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই জবাব খালেদা জিয়া, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের কাছে চাই। আজকে দাবি উঠেছে, জিয়াউর রহমান কিভাবে ঠাণ্ডা মাথায় সেনাবাহিনীর অফিসার এবং জওয়ানদের হত্যা করেছিল, কী নৃশংসভাবে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে দিনের পর দিন, একটি উচ্চতর কমিশন গঠন করে এই সত্য উন্মোচন করে জাতির কাছে জানানো। আমি এই দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করছি। তিনি বলেন, যে অজানা কান্নাগুলো হারিয়ে গিয়েছিল, যে কথাগুলো জাতি জানত না, যারা দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে বোবা-কান্না নিয়ে বুকের মধ্যে কান্না চেপে রেখে দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছিল, যাদের অব্যক্ত বেদনার কথা মানুষের সামনে বলতে পারেনি, যাদের কান্না নিজের পরিবারও অনেক ক্ষেত্রে শুনেনি, আজকে তাদেরকে জড়ো করে জিয়াউর রহমানের নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতার কাহিনী জাতির সামনে উপস্থাপন করেছে দীপ্ত টেলিভিশন, সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।

ডব্লিউজি/এমএ

শেয়ার করুন:

Recommended For You