আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু অভিযোগ করে বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে দল, জোট ও সরকার গঠন করে খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করেছিলেন। রোববার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদ বারডেম আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আমির হোসেন আমু।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে দল গঠন, চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী নিজামী, মুজাহিদদের নিয়ে জোট ও সরকার গঠন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করেছেন। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের যেভাবে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে পুনর্বাসন করেছেন, তারই ধারাবাহিকতায় একই পথে হেঁটেছেন খালেদা জিয়া।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীদের বিভিন্নভাবে পুনর্বাসন, খুনিদের বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনে পদায়ন, তাদের দিয়ে ফ্রিডম পার্টি গঠন, খুনি ও চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিয়ে বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তান বানাতে সব ধরনের চেষ্টা ছিল জিয়া ও খালেদা জিয়ার আমলে।
আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা বলেন, তাদের এসব কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ব্যক্তি কিংবা পারিবারিক হত্যাকাণ্ড ছিল না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নস্যাৎ করে এই দেশকে আবারও পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়াই ছিল ঘাতকদের মূল লক্ষ্য।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ বারডেম শাখার সভাপতি মীর নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান, মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক রশিদ-ই-মাহবুব, বারডেম জেনারেল হাসপাতালের মহাপরিচালক অধ্যাপক এম কে আই কাইয়ুম চৌধুরী, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, অধ্যাপক ডা. পুরবী রানী দেবনাথ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ডব্লিউজি/এমএ