আরও ১০ শতাংশ শুল্ক কমছে চাল আমদানিতে : খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাজারে চালের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য আমদানি শুল্ক আরও কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

চালের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ করে আজ রোববার রাতেই প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। প্রজ্ঞাপন জারির পর পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বেসরকারি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ শুল্কে চাল আমদানি করা যাবে।

আজ রোববার বিকেলে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নওগাঁ জেলার ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার এবং বিএডিসি ও বিসিআইসি সার ডিলারদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় খাদ্যমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদেী হাসান। অন্যদের মধ্যে নওগাঁর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু হোসেন  উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনার সরকার জনবন্ধব সরকার উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানি শুল্ক কমানোর পাশাপাশি আগামী ১ সেপ্টম্বর থেকে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু থাকবে। আগে যেখানে বছরে দেড় লাখ মেট্রিক টন ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ করা হতো। এখন সেখানে প্রতি মাসে ১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ করা হবে। এতে বাজারে চালের দামে প্রভাব পড়তে বাধ্য। কারণ যাঁরা ওএমএস চালের কিনবে এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাবে তাঁদের বাজার থেকে চাল কিনতে হবে না।’

ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারদের কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি বরদাশত করা হবে বলে হুশিঁয়ারী দেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘টিভি স্ক্রল অথবা নিউজে যদি দেখি কোনো ডিলার ওএসএম কিংবা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচারকালে ধরা পড়েছে কিংবা কোনো অনিয়ম করেছে তা হলে যেই হোক না কেন সে ছাড় পাবে না। আগে জরিমানা করা হতো। এখন র‌্যাব ও পুলিশও মাঠে নামছে। অনিয়মের কারণে গ্রেপ্তার হলে আমার বাপেরও সাধ্য না হয় তাঁকে ছাড়াবার।’

সার ডিলাররা অবৈধভাবে সারের মজুত গড়ে তুললে কিংবা সংকট দেখিয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করলে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে সারের মজুত রয়েছে। সারের কোনো সংকট নেই। তারপরেও কিছু মানুষ গুজব ছড়াচ্ছে সারের মজুত শেষ হয়ে যাচ্ছে। এই গুজবে কান দিয়ে অনেক সার ব্যবসায়ী অবৈধভাবে সার মজুত করছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। এখন আর জরিমানা নয়। কোনো ডিলারের বিরুদ্ধে সারের অবৈধ মজুতের অভিযোগ পেলে তাঁদের ডিলারশিপ বাতিল করা হবে।

তেলের দাম বাড়ার পর চালের দাম অযৌক্তিকভাবে কেজিপ্রতি ছয় থেকে সাত টাকা বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, তেলের দাম ৪২ শতাংশ বাড়ানোর পর হিসেব করে দেখা গেছে এক কেজি চালের পরিবহন খরচ বড়জোর ৫০ শতাংশ বাড়তে পারে। সেখানে চালের দাম বাড়ানো হয়েছে কেজিপ্রতি ছয় থেকে সাত টাকা বাড়ানো হয়েছে। যার কোনো যৌক্তিকতা নাই।

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *